তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা, ভাংচুর, মেয়ে সন্তান কে উত্যক্ত করা ও শিক্ষিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষিকা রোকিয়া আক্তার।
বনগাঁও রেজিঃ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষিকা রোকিয়া আক্তার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দুর্গাপুর পৌরশহরের দক্ষিণপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। ওনার নিকটতম প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন এবং শাহজাহান তার জায়গার গাছ কেটে জোর করে দখলে নিয়ে রাস্তা বানিয়ে নেয়। এতে প্রতিবাদ করতে গেলে গিয়াসউদ্দিন এবং শাজাহান সহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষিকাকে খুন করার চেষ্টা চালায় এবং বাড়ির সীমানা ও বেড়া ভাংচুর করে আমার মেয়ে কে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
পরে তার স্বামী সুলেমান কবির পেছনের দরজা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিপক্ষরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরবর্তিতে গত জুন মাসে ওই শিক্ষিকাকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করলে ওনার স্বামী ৯৯৯ এ কল দিলে দুর্গাপুর থানার এস.আই হান্নান ও আরেকজন কনস্টেবল এসে আমাদের উদ্ধার না করে আমাদের সাথে খারাপ আচরন শুরু করেন। পরবর্তিতে এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে, আসল ঘটনাকে আড়াল করে তাদের ইচ্ছে মতো অভিযোগ লিখিয়ে ওই শিক্ষিকার স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। এ বিষয়টি জানতে পেরে পরবর্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে পুনরায় অভিযোগ করেন শিক্ষিকা রোকিয়া।
পরবর্তিতে গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে থানার সাবইন্সপেক্টর হান্নান ওই শিক্ষিকাকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে তাকে ভয় দেখায়। পরবর্তিতে গত ১৭ জুলাই দুপুরে দুর্গাপুর থানার সাবইন্সপেক্টর সাদেক এবং সাবইন্সপেক্টর সুভাশিস গাঙ্গুলী বিবাদীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে শিক্ষিকাদের বকাবকি করে যায়। এ সকল দৃশ্য তারা ভিডিও করলে তা টের পেয়ে আমাদের কাছ থেকে জোর করে মোবইল ফোন নিয়ে ওই সকল ভিডিও ডিলিট করে পুনরায় তাদের হুমকি দিয়ে যায়। ওই শিক্ষিকা, তার স্বামী এবং ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া তার মেয়ের জানমালের নিরাপত্তায় চেয়ে এ বিষয়ে উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাদরাসার শিক্ষিকা রোকিয়া আক্তার।
এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে সাবইন্সপেক্টর আসাদ কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ নিয়ে পরবর্তিতে কথা বলবেন বলে মুঠোফোন রেখে দেন। রোকেয়া বলেন, আমি সাধারণ শিক্ষক, আমার উপর কেন এ নির্যাতন ? আমি এর বিচার চাই, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসন ও সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ‘র সহ:সভাপতি উসমান গনি তালুকদার, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তাজুল ইসলাম, শিক্ষিকা রোকসানা খাতুন, এলাকাবাসী রতন মিয়া প্রমুখ।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:০৮