বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

কথিত পীরের মৃত্যুর পর ঘরে মিলল আড়াই কোটি টাকা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২
  • ২১৩ Time View

ডেস্কনিউজঃ কুমিল্লার তিতাসে বড় গাজীপুর মাজার বাড়ির কথিত পীর আমির হোসেন মুন্সী ওরফে বিশা পাগলার মৃত্যুর পর তার ঘর থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা পাওয়া গেছে। আজ বুধবার তিতাস থানা-পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গণনা করা হয়। গত শুক্রবার চিরকুমার আমির হোসেন মুন্সি ওরফে বিশা পাগলা (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মো. আমির হোসেন মুন্সী ওরফে বিশা পাগলা মারা যায়। অবিবাহিত জীবনে বিশা পাগলা একাই একটি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। ঈদের কারণে তাৎক্ষণিক তার ঘরে কেউ প্রবেশ না করলেও ঈদের একদিন পর মঙ্গলবারে তার আত্মীয়-স্বজন ঘরটি পরিষ্কার করতে যায়।

ঘর পরিস্কারের একপর্যায়ে আলমারি খুললে তাতে সাজানো টাকার বান্ডিল দেখতে পায়। বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিক এলাকার গণ্যমাণ্য ও জনপ্রতিনিধিদের জানান। পরে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় ঘরটি তালাবদ্ধ রাখা হয়।

আজ বেলা ১১টার দিকে বিশা পাগলার বাড়িতে তিতাস থানা-পুলিশের একটি দল, উপজেলা আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ সহসভাপতি মুন্সি মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, কুমিল্লা (উত্তর) জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ, বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর নবী, বিশা পাগলার বোন মুর্শিদা আক্তার, বড় ভাই আউয়াদ মুন্সিসহ গাজীপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘরের তালা খুলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ মিনিট মেশিনের মাধ্যমে টাকা গণনা করে পুনরায় টাকাসহ ঘর তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়।

টাকা গণনা শেষে বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরনবী জানান, বিশা পাগলার ঘর থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া টাকা যৌথ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংকে রাখা হবে বলে জানানো হয়।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক গ্রামের লোকজনদের সহযোগিতায় ঘরটি তালাবদ্ধ করে দিই। আজকে স্থানীয় লোকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা গণনা করা হয়। ঘর থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। যা বিশা পাগলার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, মৃত বিশা পাগলারা দুই বোন ও তিন ভাই ছিল। এদের মধ্যে বর্তমানে একজন বোন মুর্শিদা বেগম এবং দুই ভাই আউলাদ মুন্সি ও জামাল মুন্সি জীবিত রয়েছেন।

কিউএনবি/বিপুল/ ১৩.০৭.২০২২/ রাত ১০.৪২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit