ডেস্কনিউজঃ চাপের কাছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপাতত পদে থাকছেন। বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিস বৃহস্পতিবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে তার পদত্যাগের ভাষণে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বরিস বলেছেন, কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নতুন একটি মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিচ্ছেন।
বরিসে ‘পতনে’ আনন্দ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটির নেতারা বরিস জনসনকে ‘বেকুব ক্লাউন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার জন্য তিনি তার ন্যায্য পুরস্কার পেয়েছেন।
দল থেকে বরিসের পদত্যাগের কিছুক্ষণের মধ্যে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘বরিস আমাদের পছন্দ করেন না আমরাও তাকে পছন্দ করিনা।’ টেলিগ্রাম পোস্টে রাশিয়ান টাইকুন ওলেগ ডেরিপাস্কা বলেছেন, এক ‘বেকুব জোকারের’ অপমানজনক পরিণতি।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেন, জোকারের বিদায় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘বরিস রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অন্যতম প্রধান মতাদর্শী। ইউরোপীয় নেতাদের চিন্তা করা উচিত যে এই ধরনের নীতি কোথায় নিয়ে যায়।’
এছাড়া ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আশা করে ব্রিটেনে ‘আরও পেশাদার লোক’ ক্ষমতায় আসবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা নেতাগুলোর মধ্যে যে বেশি দৌড়ঝাঁপ করেছেন এরমধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অন্যতম। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর দুইবার আকস্মিক কিয়েভ সফর করেছেন বরিস। সেইসঙ্গে এই যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনাকারীর মধ্যেও বরিস ওপরের তালিকায়।
কিউএনবি/বিপুল/০৭.০৭.২০২২/ রাত ১০.৫৭