বর্তমানে চাকরি হারিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে অর্থ সম্পদ সব শেষ করে ফেলেছেন। এখন আর কেউ তার খবর নেয় না। নিজের দুই সন্তান নিয়ে পরিবার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি।তখন কোম্পানি চিকিৎসা করলেও তাকে এককালীন কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। তিনি অনেক ঘোরাঘুরি করে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে হতাশা নিয়ে জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে থাকেন।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক নেতা বলেন, আহত, নিহত ও পঙ্গু হয়ে যাওয়া খনি শ্রমিকদের কোনো তালিকা তার কাছে নেই। এর বাইরে কিছু বলতে চাননি তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রোকৌশলী কামরুজ্জামান খান এর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অপর দিগে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি আন্দোলন কমিটির নেতা ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো সোলায়মান সামি বলেন, খনিতে দুর্ঘটনাগুলো হঠাৎ হলেও দুর্ঘটনা অপেক্ষা বেশি লোক মারা যায় শ্রমিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার অভাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। কেননা সেখানেও খনিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় নেই কোনো সহায়ক ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, খনির মতোই মূল্যবান খনি শ্রমিকদের জীবন। খনন পদ্ধতিকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।যারা জীবনের বিনিময়ে দেশের জন্য সাফল্য বয়ে নিয়ে আসেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সবাগ্রে সেই দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, খনিতে যারা দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে আরও বেশি করে সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:২৩