আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এদিকে দেশটির অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। খবর আল জাজিরার। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার সমস্যা যেন কাটছেই না। জ্বালানি, খাদ্য, ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য হাহাকার বাড়ছেই। জ্বালানির ওপর থেকে চাপ কমাতে রাজধানী কলম্বোর স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ঘরে বসে অফিস করার নির্দেশনা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দেশটির প্রধান বিরোধীদল। বৃহস্পতিবার দলটির নেতৃত্বে কলম্বোর রাস্তায় নামেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই রাজধানীর প্রধান রেল স্টেশনের বাইরে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে বিরোধী দলের নেতৃত্বে হাতে কলো পতাকা ও গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসের বাসভবনের দিকে এগোতে শুরু করেন সবাই।
তবে নিরাপত্তাবাহিনীর বাধার মুখে রাজপথেই সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীর। এসময় বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমাদের শিল্প ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। শ্রমিক, কর্মী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবাইকে বর্তমান সরকারকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
একদিকে যখন দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য হাহাকার, সেসময় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর দ্বারস্থ হয় গোতাবায়ে সরকার। আরও ঋণের আবেদন করলেও তাতে এখনো সাড়া দেয়নি সংস্থাটি। উল্টো অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে নাগরিকদের ওপর কর আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/০১ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:০৪