ডেস্ক নিউজ : টাঙ্গাইলের নদ-নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা এক সপ্তাহ পানি বৃদ্ধিতে জেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। তবে বর্তমানে পানি কমতে শুরু করছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার কমেছে।
তিনি আরো বলেন, লোকালয় থেকে পানি সরে যাওয়ার সময় ভাঙন আরো তীব্র হবে। ভাঙন রোধে আমরা প্রস্তুত আছি। এদিকে যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি কমলেও কিন্তু চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবের পাশাপাশি বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। চরাঞ্চলে রয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। জেলার সাত উপজেলার আট হাজারের বেশি হেক্টর জমির ফসলও তলিয়ে যাওয়ায় নানা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
জেলার কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী, দুর্গাপুর, সল্লা এবং ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের গাবসারা, গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও নিকরাইল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে যমুনার পানি ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে। পানির স্রোতে কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে রান্নার মাটির চুলা, গবাদি পশু রাখার স্থান, টয়লেট, টিউবওয়েলসহ চরাঞ্চলের নানা ধরনের ফসল ও সবজি। পরিবারগুলো উঁচু স্থানে আশ্রয়ের জন্য চলে গেছে অন্যত্র। আবার অনেকেই ঘরেই মাচায় রান্না করাসহ কষ্টে দিন পার করছে।
বাসাইল ও মির্জাপুরেও বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর ইউনিয়নে প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হয় মানুষ। ভুক্তভোগীরা বলেন, পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সরকারিভাবে পাওয়া ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পানি কমলেও মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানান, বন্যার্তদের সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:১৫