আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন ও মলদোভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর মর্যাদা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল এ ঘোষণা দিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যা দিয়েছেন চার্লস মাইকেল। তিনি বলেছেন, ইইউ’র দিকে আপনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, (ইউক্রেন)-ইইউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত… ইইউ-এর মধ্যেই ইউক্রেনের ভবিষ্যত। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো আগ্রাসন মোকাবিলা করা নাগরিকদের প্রতি এক আবেগপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, এই সুযোগ পেতে আমাদের অতি উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে। হ্যাঁ, ইউরোপীয় পরিবারে যুক্ত হতে আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলা শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছিল ইউক্রেন। তারপর প্রক্রিয়াটি রেকর্ড গতিতে এগিয়েছে। ইইউতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত এর আগে বিবিসিকে বলেছেন, এটি ইউক্রেনীয়দের জন্য মানসিকভাবে উৎসাহ দেবে। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, শুধু যুদ্ধ শেষ হলেই ‘বাস্তবের শান্তি’ ফিরে আসবে। ইইউ সদস্য পদ পাওয়ার প্রাথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ হচ্ছে প্রার্থী মর্যাদা পাওয়া। তবে পূর্ণ সদস্য হতে কয়েক বছর লাগতে পারে আর সদস্য প্রার্থী হলেই সদস্য হওয়া যাবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ইইউ’র পদক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে ইউক্রেনের জন্য বড় মুহূর্ত এবং জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত। এদিকে মলদোভার আবেদন গ্রহণ করা হলেও তৃতীয় আরেকটি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র জর্জিয়া এখনো প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতায় উন্নীত হতে পারেনি।
সূত্র: বিবিসি
কিউএনবি/আয়শা/২৪.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৫৪