ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে বেতন বাড়ানো, এটা-সেটা, নানান ধরনের আন্দোলন যদি করতে যায় (পোশাক শ্রমিকরা)। এই রপ্তানি যদি বন্ধ হয়, তাহলে গার্মেন্টসহ সব কারখানা তো বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমও যাবে, ছালাও যাবে। বেতন তো বাড়বেই না, তখন চাকরিই চলে যাবে। ঘরে ফিরে যেতে হবে। তখন কি করবে? কারো কথায় কোনো অশান্তি সৃষ্টি করলে দেশের ক্ষতি, নিজের ক্ষতি। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ যারা কিনবে তাদের ক্রয় ক্ষমতাই নাই। যাদের কাছে রপ্তানি করি তাদের ক্রয় ক্ষমতাও সীমিত হয়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে আরো খারাপ হচ্ছে। আমরা আমেরিকা, ইউরোপে পাঠাই। সেসব জায়গায় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। সেখানে কত মানুষ না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সবার খাদ্য, পোশাক, ভ্যাকসিন অন্তত আমরা দিয়ে যেতে পারছি। সেখানে যদি কেউ কেউ অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে আমি বলবো- শেষে একূল-ওকুল দু’কূলই হারাতে হতে পারে। এটাও যেন সবাই মনে রাখে।
তিনি আরও বলেন, আর কেউ যদি মনে করেন আন্দোলন করে এই কারখানা বন্ধ ওই কারখানা বন্ধ করে দেবো। তাহলে কারখানা বন্ধ হলে কিন্তু চাকরিও চলে যাবে। তখন বেতন বাড়ানো নয়, বেতনহীন হয়ে যাবে। সেটা যদি না বুঝলে আমাদের কিছু করার নেই। বেসরকারি খাতে আমরা আর কতো দেব? আমরা তো ভর্তুকি দিয়েই যাচ্ছি। সব ধরনের প্রনোদনা দিয়েই যাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। করোনাকারীন তো আমরা কোনো কারখানা বন্ধ হতে দেয়নি। চালু রাখার সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েছিলাম। আমরা সেখানে প্রনোদনা প্যাকেজ দিয়েছি, ভর্তুকি দিয়ে গার্মেন্টের শ্রমিকরা যাতে বেতন পায় সেই ব্যবস্থা করেছি। আমরা সরাসরি ফোনের মাধ্যমে এই শ্রমিকদের টাকা দিয়েছি। মালিকদের হাতেও দেইনি। এখন তার সুফল পাচ্ছি। কাজ পাচ্ছি, রপ্তানি বাড়ছে। সেটা মাথায় রেখইে সবাইকে চলতে হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৭.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:২৪