খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের সখিপুরে স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে প্রথম স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) কে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে দাবী করেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ফজলুল বেপারী, সৎ ছেলে বিল্লাল, সাগর ও সৎ মেয়ে মোকসেদা পলাতক রয়েছে। এই বিষয়ে সখিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছে নিহতের ছেলে মামুন বেপারী।
সখিপুর থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, নিহত নুরজাহান বেগম সখিপুর নইমউদ্দিন সরদার কান্দি গ্রামের ফজলুল বেপারীর প্রথম স্ত্রী ছিলেন। নিহতের স্বামী ফজলুল বেপারী প্রথম স্ত্রীকে রেখে কাচিকাটা এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন আলাদাভাবে বসবাস করছিল। কিছুদিন পূর্বে কাচিকাটা থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সখিপুরের বাড়িতে চলে আসে ফজলুল বেপারী। সেখানে প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের সম্পর্কের টানাপরেন দেখা দেয়। উভয় স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
রোববার রাতে স্বামী ফজলুল বেপারী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান বিল্লাল, সাগর ও মোকসেদাকে সাথে নিয়ে এসে প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। সে ঘর থেকে বের হতে না চাইলে প্রথম স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে হাত পায়ের রগ কেটে ফেলে তারা। রগ কাটা অবস্থায় রক্ত শূণ্য হয়ে ঘটনাস্থলেই নুরজাহান বেগমের মৃত্যু হয়। ঘটনা পরবর্তী সখিপুর থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের পুত্র মামুন বেপারী বলেন, সৎ মা ও ভাই-বোনেরা আলাদা বাড়িতে থাকা অবস্থায় আমাদের সংসারে সুখ শান্তি ছিল।
তারা বাড়িতে ফিরে আসতেই আমাদের সুখের সংসার দোযখে পরিনত হয়। সব সময় সৎ মা ও ভাই বোনেরা ঝগড়া করতেই থাকত। রোববার রাতে আমাদের পিতা ও সৎ ভাই-বোনেরা এসে মাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে। মা বের হতে না চাইলে তারা আমার মায়ের হাত-পায়ের রগ কেটে দুনিয়া থেকে বের করে দিয়েছেন। সখিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল হক বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মামুন বেপারী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/০৬.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৪৮