বিশ্বজিত সরকার বিপ্লব,গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে দিনব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলা ওই প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বরিশালের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস।কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ,এম জয়নাল আবেদীন, গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সী, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া আফরোজ হেলেন, গৌরনদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিয়া।
কর্মশালায় জানানো হয়ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারেই দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্তি, বাসস্থান, শিক্ষা ,চিকিৎসা, ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এ লক্ষকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনের নিরিখে বিশিষ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। যার মধ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ন-২ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহয়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর মানসিক বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি অন্যতম। যা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দশ উদ্যোগ নামে পরিচিত। এ সব উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০২১ অর্জনসহ দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে এবং বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত করেছে। ভিশন ২০২১ এর অভিজ্ঘতার আলোকে প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই বিশেষ উদোগ সমূহের সঠিক এবং আরো কার্যকর বাস্তবায়ন ভিশন ২০৪১ অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জনেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। ফলে উদ্যোগ সমূহের নিয়মিত পরীবিক্ষনের পাশাপাশি বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্থানীয় অংশীজনের মতামত অত্যান্ত গুরুম্বপূর্ন।
অধিকন্তু, স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোগ সমূহের বহুল প্রচারের মাধ্যমে সরকারের গৃহিত কার্যক্রমকে জনসাধারনের মধ্যে পরিচিত করা আবশ্যক। এ লক্ষে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট স্থানীয় অংশীজনের অংশগ্রহনে প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ বিষয়ক কর্মশালা স্থানীয় পর্যায়ে আয়োজনের কার্যক্রম গ্রহন করেছে। এ সব কর্মশালা থেকে স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগ সমুহের বহুল প্রচারে করনীয় নির্ধারন বিষয়ে সুপারিশ প্রনয়ন কর্মশালার উদ্দেশ্য। কর্মশালার প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উদ্যোগ সমূহের অধিকতর উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের সুপারিশ প্রনয়ন করা হবে। উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতনিধিসহ নানা শ্রেনী পেশার মোট ৫০জন লোক এ কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।
কিউএনবি/অনিমা/০৩.০৬.২০২২/সন্ধ্যা ৭.৫৭