খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর : শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ১০ শয্যার ডায়রিয়া ইউনিটে ৫৭ রোগি ভর্তি রয়েছে। ইউনিটে শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে ও গলিতে অবস্থান করছেন রোগিরা। ডাস্টবিনের পাশে ও ভ্যানের উপর অবস্থান করতেও দেখা গেছে রোগিদের। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত নার্স ও চিকিৎসকগণ। আবহাওয়া পরিবর্তন ও প্রচন্ড গরমের সাথে বৃষ্টি তাই এই ধরণের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবী করেছন স্বাস্থ্য বিভাগ।
১০০ শয্যার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটে ১০টি শয্যা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ইউনিটে ৫১ জন রোগি ভর্তি হয়ে চিকিৎসার অপেক্ষায় রয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তির অপক্ষোয় রয়েছে আরো ৬ রোগি। মুখে খাবার ও আইভি স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সেবা প্রদানে তেমন কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স প্রিয়াঙ্কা হালদার। তবে ধারণ ক্ষমতার ৬ গুন রোগির চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। রোগির চাপ রয়েছে সার্জারী, গাইনী ও শিশু বিভাগে। বহির্বিভাগেও রোগির পর্যাপ্ত চাপ বেড়েছে।
ডায়রিয়া ইউনিটে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে রোগির চাপ খুব বেশি। তবে ডায়রিয়া ইউনিটে ধারণ ক্ষমতার অনেকগুন বেশী রোগি রয়েছে। আমরা সাধ্যের মধ্যে সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। রোগিরা হাসপাতালের বিভিন্ন গলিতে ও মেঝেতে অবস্থান করলেও সেবা পাচ্ছে। প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টির কারণে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে তাই সকলকে সচেতন হতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান ও বাহিরের খাবার বর্জণ করলে ডায়রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবাহান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মানুষের রোগ ব্যাধি বেশি হচ্ছে। শয্যা সংকট ছাড়া হাসপাতালের ঔষধ ও চিকিৎসকের কোন সংকট নাই। রোগিরা সঠিক নিয়মে সেবা পাচ্ছে। গতকাল ৮০ জন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি ছিল। চিকিৎসা পেয়ে রোগিরা সুস্থ হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/১২ই মে, ২০২২/২৯ বৈশাখ, ১৪২৯/সন্ধ্যা ৭:৩৮