শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

চৌগাছায় কাটা ধান পানির নিচে কৃষকের মাতায় হাত

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) ।
  • Update Time : সোমবার, ৯ মে, ২০২২
  • ৩০৭ Time View

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্ষেতে কাটা বোরো ধান পানিতে ভাসছে। ফলে কৃষকের স্বপ্ন মাঠেই মারা যাওয়ারও উপক্রম দেখাছে। মাঠে কেটে রাখা ধানের ওপর পানি, কোথাও পানিতে ভাসছে মাঠে বেঁধে রাখা ধান।এ ছাড়া বৃষ্টি ঝড়ো হাওয়ায় পাকা ধান জমিতে পড়ে গেছে। ৯ মে সোমবার সকাল ১১ টার দিকে চৌগাছা উপজেলায় মৃদু বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। গোটা উপজেলা জুড়ে বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা, কোথাও বেঁধে রাখা, কোথাও গাদা করে রাখা ধানের ওপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের আলম দফাদার বলেন, চৌদ্দ বিঘা ধান করেছি। শ্রমিক সংকটের ফলে কাটতে পারিনি। ঠাকুরগাঁও থেকে শ্রমিক এসেছে সোমবার (৯ মে) সকালে। ধান কাটতে কাটতেই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে।

এরআগে মাঠে কারেন্ট পোকায় ধান কেটে চাষীর ব্যাপক ক্ষতি করেছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে দেরী হয়েছে। এখন বৃষ্টিতে ভিজে বিচালী (গো-খাদ্য) শেষ হয়ে গেলো ধান ও পানিতে ভাসছে। রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক লাবলু রহমান বলেন, রবিবার রাতে আমি ও আমার ভাই দুই জনের দুই বিঘা ধান বেঁধেজালি দিয়েছি। এখন সেই জালির ওপর দিয়ে পানির স্রোত যাচ্ছে। জমি একটু নিচ হওয়ায় ক্ষেতে নরম কাঁদা ছিলো। সে কারণে ওই ক্ষেতে গাড়ি নেওয়া যায়নি। হঠাৎ সোমবার যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে উপজেলার কমবেশি সকল কৃষকেরই ধানের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া বার্তা রয়েছে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে বৃষ্টি হবে। এভাবে টানা বৃষ্টি দুতিনদিন চললে কৃষকের সব স্বপ্ন মাঠেই মারা যাবে।

সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক আবু তৈয়ব বলেন, ধান কেটে রেখেছিলাম। কারেন্ট পোকার আক্রমণ, শ্রমিক সংকটের পর এই অসময়ের বৃষ্টিতে কেটে রাখা ধানগুলি পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। উপজেলার কৃষকরা জানিয়েছেন মৌসুমের শুরুতেই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের টানা বর্ষণে বীজতলা নষ্ট হয়েযাওয়ায় এ এলাকার বোরো ধান চাষ প্রায় একমাস পিছিয়ে (নাবি) হয়ে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয় বিভিন্ন আবাদের। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। ধানের ফলনও হয়েছিলো বা¤পার। তবে অসময়ের হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কৃষকের সেই স্বপ্ন এখন মাঠেই ডুবে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮হাজার ১শ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০হাজার ২শ মেট্রিক টন।সারাদেশে গড়ে হেক্টরে যেখানে ৫.৮২ মেট্রিকটন ধান উৎপদন হলেই বা¤পার ফলন ধরা হয়। চৌগাছায় সেখানে হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হওয়ার আশা করছিলেন কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষকরা জানাচ্ছেন এখন বৃষ্টিতে সেই লক্ষঅর্জনও সম্ভবহবে না । উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বস বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি তো হবেই। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটা ম্যাশিনদিয়ে রোবধান কাটা শুরু করা হয়েছে। এতে শ্রমিক সংকট অনেকটা কমে আসবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৯ই মে, ২০২২/২৫ বৈশাখ, ১৪২৯/সন্ধ্যা ৭:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit