শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছরের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অশীতি পরায়ন বৃদ্ধা মাস্টারের মা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে তাঁর দেহ। শরীরের গঠনও জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়েছে। কাছ থেকে দেখলেই বোঝা যায়, রোগ–শোকে অনেকটাই ক্লান্ত তিনি। বয়স হয়েছে প্রায় ৮৫ বছর। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্র বিধবা এই নারী স্বামী মৃত্যুর পরে শেষ জীবনে ৩০ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন একটু সচ্ছলতার আশায়। ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছেও।
চেয়েছেন একটি ঘর, একটু পূজি, যা দিয়ে ব্যাবসা করবেন তিনি, ফিরবেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু বরাবরই আশ্বাস মিলছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মাস্টারের মার কপালে জোটেনি কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা। নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের চন্দ্রপতি খিলা গ্রামের লিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী মাস্টারের মা। বিধবা মেয়ে সন্তান নিয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয়ে আছেন। গত ২০২১ সালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবদুর রহমান ফাউন্ডডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)’র ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তাকে এককালীন নগদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরিয়ে এনে ক্ষুদ্র ব্যবসার পূজি করে দেয়। কিন্তু লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারনে এই অল্প পূঁজিতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন নি তিনি। ভিক্ষে করেই চলে তার জীবন।
একমাত্র মেয়ে মঞ্জুরা আক্তার বৃদ্ধা মা ও তার ছেলে নিয়ে খুবই কষ্টে চলছে তাদের জীবন। এ অবস্থায় হতদরিদ্র ওই নারীকে খেয়ে না– খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। মা ও মেয়ের দাবি সরকারিভাবে কোনো সাহায্য পেলে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। মাস্টারের মার দাবি সরকারি ভাবে একটু আশ্রয় পেলে বাকি জীবন ভালভাবে চলতে পারবের। দীর্ঘ ত্রিশ বছরের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান মাষ্টারের মা।কিউএনবি/আয়শা/১৯শে মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৩৫