সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায় পানি একটু থেমে গেলে তখনই কুষকরা জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। জয়পুরহাট সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের কৃষক গাজিউল ইসলাম জানান, আমি আট বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম ইতিমধ্যে ৫বিঘা জমির আলু তুলে বিক্রি করেছি আর তিন বিঘা জমির আলু শনিবারে তোলার কথা ছিলো। তোলার মানুষও ঠিক করেছিলাম কিন্তু হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার রাতে থেকে বৃষ্টি হওয়ায় আলুর জমি পানিতে ডুবে গেছে, আর আলু তোলা হলো না। তিনি বলেন এমনিতেই আলুর দাম কম আলুর সেখানে এই অবস্থা এবার আমরা অর্থনৈতিক ভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর জানান আমি ৩ বিঘা জমির আলু চাষ করেছি, সেই আলু সবই পানিতে ডুবে গেছে, আলুতে যা খরচ করেছি তার অর্ধেক টাকার আলু বিক্রি করতে পারবো কি-না তা নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় রয়েছি। কালাই উপজেলার সড়াইল গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, এমনিতেই বাজারে আলুর দাম নেই। তিনি বলেন, আমি ২ বিঘা জমির আলু বিক্রি করে প্রায় ৮ হাজার টাকা লোকসানে আছি। তারমধ্যে এখন আবার বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে তখন চরম বিপাকে পড়তে হবে।
এদিতে আলুর পাশাপাশি যারা সরিষা চাষ করেছেন তারাও দুঃচিন্তায় রয়েছেন। জেলাতে এবছর সরিষা চাষ হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর জেলার ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বৃষ্টিতে আলুর ফসলের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখন নিধারণ করা হয়নি।
কিউএনবি/আয়শা/৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৩৭