
ডেস্ক নিউজ : শামুকখোল বাংলাদেশের পরিচিত পাখিগুলোর একটি। অদ্ভুত লম্বা ঠোঁটের কারণে সহজেই এদের নদীনালায় চরে বেড়ানো অন্য বড় পাখি থেকে আলাদা করা যায়। শামুকখোলের শারীরিক আকারও হয় বেশ বড়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মো. সালেহ রেজা জানান, এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বাকি অংশে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের দেখা মেলে।
শামুকখোলের প্রধান খাবার হলো শামুক ও ঝিনুক। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সাধারণত এরা জায়গা থেকে সহজে নড়ে না। শামুকখোল ধানক্ষেত, ছোট নদীনালার অল্প পানিতে নেমে ঠোঁট ডুবিয়ে আহার সংগ্রহ করে। রাজশাহীতে এ পাখির বিচরণ অনেক আগে থেকেই। বড় বড় গাছে বাসা বেঁধে থাকে শামুকখোল। বিভিন্ন কারণে বড়, প্রাচীন গাছ কাটা পড়ায় শামুকখোল পাখি প্রায়ই ঘরহারা হয়, ছড়িয়ে পড়ে নতুন নীড়ের খোঁজে।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির মেহগনি, আমসহ বিভিন্ন গাছের ডালে শত শত শামুকখোল পাখি উড়ে এসে বসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, এ পাখিগুলো প্রতিদিন সকালে খাবারের সন্ধানে আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে ছুটে যায়। আবার সন্ধ্যা নামার আগে আগে বাসায় ফিরে আসে। এ প্রতিবেদক রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুসা কৈকুড়ি বিলে গিয়ে এ রকমই একদল পাখি দেখতে পান। সেখানে একদিকে কৃষকরা ধান চাষ করছিলেন, আরেকদিকে খাবারের সন্ধানে শত শত শামুকখোল ওড়াউড়ি করছিল।
স্থানীয় কৃষক দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ধান চাষ শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও হালকা পানি আছে। এ ছাড়া ধানের জমির পানিতে ছোট ছোট শামুকের খোঁজে শামুকখোল পাখিগুলো দল বেঁধে উড়ে আসে প্রতিদিন। দেখতে সুন্দর লাগে। ’
কিউএনবি/আয়শা/৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:২৫