শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন

শরীয়তপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও করোনা বেড রোগী শূণ্য

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৯১ Time View

 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অথচ হাসপাতালে করোনা রোগীর নির্ধারিত বেডগুলো ফাঁকা রয়েছে। উপসর্গহীন করোনা পজেটিভ নিয়ে অনেকেই ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন, দায়িত্ব পালন করছেন অফিস আদালতে। ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকেও পাত্তা দিচ্ছে না সাধারণ মানুষ। অফিস আদালত ছাড়া নেই কোথাও মাস্কের ব্যবহার। ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে করোনার চাইতে মৃত্যু ঝুঁকি কম বলে হাসপাতালের প্রতি রোগীদের অনিহা বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, জেলা সদর হাসপাতালে ২০টি, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে মোট ৫০টি করোনা বেড রয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারীও জেলায় মোট ৪৪১ জন করোনা পজেটিভ রোগী অবস্থান করছে। অথচ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ২ জন করোনা পজেটিভ রোগী ছাড়া অন্যান্য উপজেলার ৩০টি করোনা বেডের বিপরীতে কোন রোগী নাই। গত ৩ সেপ্টেম্বরের পর করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭৬ জন থেকে কোন পরিবর্তন হয়নি।

স্বাস্থ্য বিভাগ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি যাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহনের ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে তাদেরও বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ দেয়া হচ্ছে। প্রায় ১৪ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে জেলায় এই পর্যন্ত ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ভ্যাসিন পৌঁছেছে। এর মধ্য থেকে প্রথম ডোজে ৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৫১ জনকে, দ্বিতীয় ডোজে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ জনকে ও বুস্টার ডোজে ৫ হাজার ৯৬৩ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

জেলা ইপিআই সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, ইতোপূর্বে তিনি নমুনা দিয়েছেন। গত শুক্রবার তার করোনা পজেটিভ এসেছে। এখন পর্যন্ত তার কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি। এই অবস্থায় তিনি তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, এখন পর্যন্ত তারা মোট জন সংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছেন। আগামী মে মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

বর্তমানে টিকার কোন সমস্যা নেই। তবে টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ কম। কোভিড-১৯ করোনার চাইতে ভ্যারিয়েন্ট ও ওমিক্রনে মৃত্যু ঝুঁকি কম। তবে এটা ছোঁয়াচে বহুগুন। এই জন্যই মানুষ বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। যে সকল রোগীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ দেই। বাসায় বসেই তারা ভালো হয়ে যায় তাই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। তিনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৩৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit