বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন

প্রেসক্লাবের সামনে বসল মেট্রোরেলের শেষ ভায়াডাক্ট

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৮২ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল কার্যক্রমের শেষ ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থিত পিয়ার নং ৫৮২ ও ৫৮৩-এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দুই অংশের ভায়াডাক্টটি বসানো হয়। পিয়ারগুলোর ওপরে যে কংক্রিটের কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয় তাকে বলে ভায়াডাক্ট। ভায়াডাক্টের ওপরই বসবে রেললাইন, তার ওপর দিয়ে চলবে বৈদ্যুতিক ট্রেন।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রোরেল লাইনের উড়ালপথের স্ল্যাব বসানো শেষ হলো। সচিবালয় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কিছু অংশে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো বাকি ছিল। গত রাতে বেশিরভাগ স্ল্যাব বসানো হয়। আজ শেষ স্ল্যাবটি বসানো হলো।
 
শেষ গার্ডার বসানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ৬-এর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত লাইনের ইরেকশন সম্পন্ন হয়েছে। এর সার্বিক গড় অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ চলছে। আমাদের টার্গেটের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ ও বাহিরের স্থানগুলো যেন নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশে চলা যায়, সে জন্যই অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সেটি মূল প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। 

মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত থাকছে ১৬টি স্টেশন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকি সাতটি স্টেশনের কাজও বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান। এ পর্যন্ত দেশে এসেছে ১০ সেট ট্রেন। প্রতি সেট ট্রেনে ছয়টি করে কোচ রয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রকল্পের কাজে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে আরও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়তে পারে।

মেট্রোরেলে যে ১৬টি স্টেশন থাকছে, এর নিচে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে যাত্রীরা সহজে ওঠানামা করতে পারবেন না বলে মনে করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা। এ জন্য স্টেশনের আশপাশে বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করে যাত্রীদের চলাচল সহজ করা এবং পাশের ফুটপাত উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে উত্তরাসহ কিছু স্টেশন ঘিরে আয়বর্ধক অবকাঠামো নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের মতোই সরকারের এ মেগাপ্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার খরচও তুলনামূলক বেশি। ফলে কেবল যাত্রী পরিবহণ করে মেট্রোরেলের ব্যয় মেটানো কঠিন হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে বিপণিবিতান, হোটেল, বিনোদনকেন্দ্রসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৭শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/|সন্ধ্যা ৬:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit