ডেস্কনিউজঃ টিকা কেনার খরচ প্রশ্নে দুই মাস পর আবারও একই জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের’ মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে অর্থ খরচের হিসাব সংসদে প্রকাশ করা ‘সমীচীন হবে না’।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আবুল কালাম আজাদ এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর একই প্রশ্ন রেখেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের কতগুলো টিকা কেনা হয়েছে এবং তাতে সরকারের কত টাকা ব্যয় হয়েছে। টিকা কেনার খরচ নিয়ে সেদিনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে ঠিক একই উত্তর দিয়েছিলেন।
আর অন্য প্রশ্নে জানিয়েছিলেন, তখন পর্যন্ত ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে সাত কোটি ৭০ লাখ ডোজ সিনোফার্ম, সাত কোটি ৫১ লাখ ডোজ সিনোভ্যাক, ভারত থেকে তিন কোটি কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সের আওতায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার ডোজ সিনোফার্মের টিকা।
দুই মাস পর একই প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাবে টিকার সংখ্যা নিয়েও ঠিক একই তথ্য দিলেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এ বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন থেকে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও সাত কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডোজ এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
টিকার দাম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।’
বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আট কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনাভাইরাসের টিকা নিতে নাম লিখিয়েছেন। এ সময়ে নয় কোটি তিন লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সাত লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ জনকে বুস্টার ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনের চেয়ে টিকা প্রদান বেশি হয়েছে।
কিউএনবি/বিপুল/২৬শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ |সন্ধ্যা ৬:৫৯