শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন

চৌগাছায় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সিমিতি-১ ডিজিটাল যুগেও চলে কচ্ছপ গতিতে !

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১০০ Time View

 

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহকসেবা কার্যক্রম চলে কচ্ছপ গতিতে। কোন কাজ সম্পাদন করতে গেলে গ্রাহককে অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস। ভুক্তোভাগী একজন গ্রাহক চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন জানান তার বাড়িতে বসতঘর নির্মাণের জন্য একটি বিদ্যুতের পোল স্থানান্তেরর প্রয়োজন পড়ে। তিনি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর এক হাজার সাতশ পঁচিশ টাকা জমা দিয়ে পোল স্থানান্তেরর জন্য আবেদন করেন। এরপর থেকে কিছুদিন পরপর তিনি চৌগাছা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিতে থাকেন। প্রতিবারই তাকে জানানো হয় সময় হলে তাকে জানানো হবে।

অবশেষে তিনি ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর চৌগাছা বিদ্যুৎ অফিসে যান। সেখানে অনেক কাগজপত্র ঘাঁটাঘাটির পর জানানো হয় আপনার নামে তো চিঠি ইস্যু করা হয়েছে কিন্তু আপনি তো টাকা জমা দেননি। তিনি কোন চিঠি পাননি জানালে অনেক অনুরোধে টাকা জমা দেওয়ার একটা ডুপ্লিকেট চিঠি দেওয়া হয় এবং বলে দেওয়া হয় নতুন ভাবে টাকা জমা দেওয়ার জন্য সাদা কাগজে আবেদন করেন। শেষ পর্যন্ত আবার আবেদন করে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর নিজাম উদ্দিন পোল স্থানান্তেরর জন্য সাত হাজার দুইশত ৪৬ টাকা জমা দেন। এরপর শুরু হয় আবারো অপেক্ষার পালা।

অবশেষে নিজাম উদ্দিন এক জনকে সাথে নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যান। ১৬ জানুয়ারি রবিবার বিদ্যুৎ অফিসে গেলে চৌগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী বালি আবুল কালাম বিষয়টা দেখার জন্য জুনিয়র প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ভুঁইয়ার কাছে পাঠান। মনিরুজ্জামানের কাছে গেলে তিনি বলেন অফিস সহকারীর কাছ থেকে জেনে আসেন এটা যশোর পাঠানো হয়েছে কি না। অফিস সহকারী জানান এটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ যশোর অফিসের আকবর আলী রিসিভ করেছেন। আবারো মনিরুজ্জামানের কাছে গেলে তিনি কাগজপত্র দেখে বলেন ২৫ নভেম্বর আপনার কাজের ওয়ার্কওডার ঠিকাদারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ওয়ার্কওডার নং সি-২১-১০০৭১। কাজ পেয়েছেন যশোরের রহমান ইলেকেট্রানিক্স এর একটি প্রতিষ্ঠান অঙ্কুর কনস্ট্রাকশন এমএম আলী রোড, যশোর। আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, কাজটা করতে আমাদের এখনও এক সপ্তাহ মত সময় লাগবে। ভুক্তোভাগী নিজাম উদ্দিন বলেন, একটা পোল সরাতে দশ হাজার টাকা জমা দিয়ে স্যান্ডেল ক্ষয় করে ফেললাম কিন্তু কোন কাজ হলো না। আমি এখন কোথায় যাবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৭ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit