মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন) দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ঘুম পাড়িয়ে খড়ি দিয়ে অনুমতি বিহীন ও বিদ্যালয়ের পাশে অবৈধ ইট ভাটা চলছে জমজমাট, প্রশাষন ব্যস্ত এলাটফান্ড নিয়ে।
বীরগঞ্জে ইটভাটা করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও সরকারি আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অমান্য করে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় যত্রতত্র কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৫/৬টি ইউনিয়নে ৩০-৩২টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ও অনুমদন বিহিন অবৈধ ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে পরিবেশ প্রশাসনকে ম্যনেজ করে চালু হয়েছে। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় রাতের আধারে পুড়ছে খড়ি। ৪/৫টি ইট ভাটা সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্নে অবস্থিত।
এছাড়াও অধিকাংশ ইট ভাটা বাজারের পাশে, বসতবাড়ীর পার্শে, বসতি লোকলয়ে এবং কাছাকাছি ফসলি জমি নষ্ট করে গড়ে ওঠেছে। ট্রাকটর দিয়ে কৃষি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) এনে ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ৪১৩ বর্গকিমি (১৫৯ বর্গমাইল) এলাকায় প্রায় ৩,১৭,২৫৩ জন মানুষ বসবাস করে। এতে করে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব এলাকার উদ্ভিদ। কমে যাচ্ছে ফলন। আম লিচুর মৌসুমে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে বাগান ও গাছ মালিকেরা। এর মধ্যে অনেক ইটভাটা বিভিন্ন বাজার ও পৌর শহর সংলগ্নে অবস্থিত। ইটভাটার কারনে বাড়ছে মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত সহ বিভিন্ন নানা ধরনের রোগ।
এ ব্যপারে জনৈক ইটভাটা মালিক জানায়, ৩০-৩২টি ইটভাটার মধ্যে ৫/৭ টি ইটভাটা সঠিক কাগজপত্র রয়েছে। ৩/৪ টি ইট ভাটা কাগজপত্রের জন্য রিট করেছে, বাঁকি সব অবৈধ হলেও ইটভাটা গুলি সরকারী রাজস্ব সবচেয়ে বেশী দিয়ে থাকে। জেলা প্রশাষকের এলাটফান্ডে ইট ভাটার মালিকগুলী সবচেয়ে বেশী অর্থ দিয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারী প্রগ্রামে তারাই সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে। সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন কাজে ইট দিয়ে থাকে। সকলকে ম্যানেজ করে ভাটাগুলী চলছে। সমস্যা হলে সকলের যা হবে আমাদেরো তাই হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের কেউ আসলেই লোক দেখানো কিছু জরিমানা করে চলে যাবে।
ইটভাটা মালিকগন আরো জানায়, যতই লিখালিখি হউক না কেনো ইতি পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ প্রশাসন কিছু জরিমানা করে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাটা গুলি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। তারা আবার পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স এর আবেদন করেই প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে পুনরায় চালু করেছে। কেউ কি ইটভাটা গুলি বন্দ করতে পেরেছে?
দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সিনিয়র রসায়নবিদ এ.কে.এম সামিউল আলম কুরসির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, আমি নতুন, আমাকে জানানো হয়েছে বীরগঞ্জে ১৪/১৫ টি ইট ভাটা রয়েছে। আমার কাছে কোন কাগজ পত্র নেই। জেলা প্রশাষক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে আছে। অবৈধ ইট ভাটাগুলির ব্যপারে জেলা প্রশাষকের সহযোগিতা চেয়েছি। নির্দ্দেশনা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টিট পেলে সঠিক পদক্ষেপ নিবো।সমিতির সভাপতি ইয়াকুব আলী বাবুল কে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে সাধারন সম্পাদক ফরহাদ জানায়, যে গুলি ইটভাটার ক্ষেত্রে বাধা আছে সেগুলি পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স এর আবেদন করা হয়েছে।
এব্যপারে সুধিমহল আবাদী জমি, গাছপালা রক্ষা, ছাত্র-ছাত্রী ও জনগনের স্বার্থে সু-দৃষ্টি কামনা করে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধতন কতৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
কিউএনবি/অনিমা/১৬ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৪৮