এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি বলেছেন, আমি কবি নই, আমি কবিদের ঈর্ষা করি। কবিতা পড়ার সময় আমারও কবি হওয়ার স্বাধ জাগে। কবিদের ভাবনা, আবেগ, চিন্তা, দর্শন থাকে সেগুলো উচ্চারন করার চেষ্টা করি। কখনো কখনো হয়তো মেলেনা। একসাথে এতজন কবির মিলনমেলা দেখে আবিভুত হয়েছি। কবিতা তারাই লিখতে পারেন যারা জীবনের চলার গতিতে গা ভাসিয়ে থাকেন কিন্তু প্রতি পদে পদে জীবনটাকে আবিস্কার করেন। সমাজ পরিবর্তনের অনেক বার্তা পেয়েছি এই কবিতার মাধ্যমে। সাহস পেয়েছি কবিতার পঙ্গতি থেকে। এজন্য কবিদের প্রতি আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। শুধু আমরা এটাই বলতে পারি তারা বাঙালী সংস্কৃতির স্বাদ পায়নি, যদি পেত তাহলে তারা বিপথে যেতো না।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে মাঠে ১৪ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৫টায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও ‘শব্দশর’ সাহিত্য সংগঠনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আন্তর্জাতিক সাহিত্য উপলক্ষে আয়োজিত “শুদ্ধস্বরে শব্দশর” শ্লোগানে কবি, সাহিতিক ও গবেষকদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ‘শব্দশর’ সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি কবি বাবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শব্দশরের প্রধান উপদেষ্টা ও দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান, সম্মানীত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কার্টুনিষ্ট ও চিত্রশিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, কবি ও ছড়াকার অধ্যাপক জলিল আহমেদ, বীরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কবি ও গবেষক ড. মাসুদুল হক, দিনাজপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কবি ও গবেষক মোজাম্মেল বিশ্বাস, কবি ডাক্তার জোবাইদুর রহমান, শব্দশরের সাধারন সম্পাদক লাল মিঞা প্রমুখ।
সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৃতি চারন করতে গিয়ে বলেন, সেদিন ছিল ১৯৭৫ সালের ১৩ই জুলাই। সন্ধ্যায় ১৭ বছর বয়সী পাভেল রহমান গিয়েছিলেন তার বাড়িতে শেখ কামালের সাথে দেখা করতে। হঠাৎ করেই চোখের সামনে দেখতে পান লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরিহিত বঙ্গবন্ধু পাইপে করে তামাক টানছেন। তিনি তৎক্ষানাৎ বাবার দেয়া ক্যামেরা বের করে সকলের অগোচরে বঙ্গবন্ধুর দিয়ে ছবি তোলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু চমকে উঠেন এবং গম্ভীর গলায় বলেন কে রে? এ সময় পাশের একজন বলেন ও আমাদের পাভেল। ঠিই এ সময়ই বঙ্গবন্ধু পাভেলকে জিজ্ঞাসা করেন তুই জানিস আমি কে? পাভেলের সাদামাঠা জবাব- হ্যা জানি তো আপনিতো বঙ্গবন্ধু। সে সময় বঙ্গবন্ধুর তাকে পুনরায় প্রশ্ন করেছিলেন আমি কি শুধু বঙ্গবন্ধু দেশের প্রেসিডেন্ট আর ‘প্রেসিডেন্ট কি লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে ছবি তোলে’?অনুষ্ঠানের আগে আগত অতিথিদের মধ্যে ক্রেষ্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এছাড়াও আগত সকলকে বই উপহার প্রদান করা হয়। পরে শব্দশর সাহিত্য সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
কিউএনবি/অনিমা/১৬ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৩৮