শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

চৌগাছায় করোনার টিকা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা,মারপিটে আহত একজন !

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১০০ Time View

 

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর ) : যশোরের চৌগাছায় করোনা টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। শনিবার উপজেলা পরিষদ হল রুমে টিকা নিতে এসে শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ সময় চৌগাছা শাহাদৎ সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরমারপিটে চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র আবু মুছার মাথা কেটে যায়। টিকা পৌছাতে দেরি হওয়া, বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের অবহেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের ব্যর্থতায় শিক্ষার্থীরা এই ভোগান্তিতে পড়েন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। তাদের অভিযোগ এভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিশৃঙ্খল পরিবেশে টিকা দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা করোনা সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে।উপজেলার সব থেকে সুরক্ষিত এলাকা উপজেলা পরিষদ চত্বরে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী একসাথে টিকা নিতে প্রবেশ করায় এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারী থেকে চৌগাছায় শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হয়। অনিবার্য কারন দেখিয়ে ১৩ জানুয়ারী টিকা দেয়া বন্ধ রেখে ১৫ জানুয়ারী একদিনে ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। কথা ছিল ১৫ তারিখে যাদের টিকা দেয়ার কথা সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের আগে টিকা দেয়া হবে। এরপর যাদের ১৩ তারিখে টিকা দেয়ার কথা ছিল তাদের টিকা দেয়া হবে। কিন্তু সকাল সাতটার মধ্যেই শহরের সরকারি শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলে আসলে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ভিড় জমে যায়। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শি কয়েকজন সংবাদকর্মি ও শিক্ষক জানান, চৌগাছা উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা দুইবার এ ভিড়ের মধ্যদিয়ে গাড়িতে করে যাতায়াত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। অপরদিকে বাহিরে মারামারি পর্যন্ত সংঘটিত হলেও একটিবারের জন্য বাহিরে এসে কথা বলেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান। চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বলেন আমাদের একজন ছাত্রকে শাহদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালেয়র শিক্ষার্থীরা মেরে মাথা কেটে দিলও কর্তৃপক্ষের কেউ দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করেনি। আহত শিক্ষার্থী আবু মুছার পিতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে টিকা দিতে গিয়ে আজ মাথা কেটে আহত হয়ে বাড়ি ফিরেছে। তিনি আরো বলেন যাদের অবহেলার কারনে এ পরিস্থতি তৈরী হয়েছে তাদের এ দায়িত্ব থেকে অব্যহিত দেওয়া হোক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শিডিউল ভঙ্গ করে তাদের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী সকাল সাড়ে সাতটার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলে আসে। অথচ এই শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিদ্যালয়টির কোন শিক্ষক সেখানে ছিলেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করে। তারা ধাক্কাধাক্কি, চিৎকার, চেচামেচি করে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলে। এতে দুর দুরান্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে আগত শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী সকাল সাতটায় উপজেলা পরিষদে আসলেও দুপুর দুইটা পর্যন্ত টিকা নিতে পারে নি।


চৌগাছা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার কামাল আহমেদ বলেন, যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় টিকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে পৌনে নয়টায়। চৌগাছায় এনে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে সকাল দশটা থেকে। আগে থেকেই সকাল আটটা হতে শিডিউল থাকায় দুই ঘন্টায় যেসব শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কথা ছিল তারাসহ অন্যরা একসাথে এসে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে, সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন সকালে টিকা আসার কথা ছিল ৮টায় এসেছে ১০টায়। এছাড়া সরকারি শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র উল্টাপাল্টা করে রাখার কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামনে এমন বিশৃঙ্খলা আর হবে না বলে আশা করছি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:৪৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit