বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

শার্শার নাভারন বাজারে সিন্টিকেটের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৬শ টাকা মুল্যে গরুর গোসত্ বিক্রি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১১৩ Time View

 

শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে সিন্টিকেটের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৬শ টাকা মুল্য নির্ধারন করে গরুর গোসত্ বিক্রি হচ্ছে। যে কারনে সাধারন ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে। বুধবার নাভারন বাজারে যেয়ে দেখা গেছে, প্রতিটিগোসত। বিত্রেতা প্রতি কেজি গরুর গোসের মূল্য ৬শ টাকা করে বিক্রি করছে। এর আগে নাভারন বাজারে গরুর গোসের মুল্য ছিল প্রতি কেজি ৫শ ৫০ টাকা। এক ধাপে তা বেড়ে করা হয়েছে ৬শ টাকা। যা গরুর বাজার মল্যের তুলনায় অনেক বেশি বুধবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শার্শার সামটা, জামতলা ও উলাশী বাজারে প্রতিকেজি গরুর গোসত বিক্রি হচ্ছে ৫শ টাকা, বাগআঁচড়া ও বেনাপোল বাজারে প্রতিকেজি গরুর গোসত বিক্রি হচ্ছে ৫শ ৫০ টাকা এবং সীমান বাজার পুটখালী, গোগা, ভুলোট, রুদ্রপুর এলাকায় প্রতিকেজি গরুর গোসত বিক্রি হচ্ছে ৫শ টাকা থেকে ৫শ ৫০ টাকা করে।

সূত্রে জানাগেছে, শার্শা উপজেলার কোন বাজারে প্রশাসনেরকোন মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। ব্যবসায়ীদের ইচ্ছেমত পন্য বেচা কেনা হয়।অভিযোগ আছে শার্শা উপজেলার নাভারনসহ সকল বাজারে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই গরু, ছাগল ও মহিষ জবাহ করা হয়। অনেক মাংম ব্যবসায়ীরা একটি ভালো গরুর সাথে আরও ৩/৪টি রুগ্ন গরু জবাহ করে। অনেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ওজনের কমদেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাভারন বাজারের এক গোসত ব্যবসায়ী জানান, সিন্টিকেট তৈরী করেছে। এখন তাদের কথায় ব্যবসা করতে হবে। তানা হলে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ শুনতে হবে। অনেকে মারপিট করতে যাই। কোন প্রতিবাদের সুযোগ নেই। তিনি বলেন প্রতি কেজি গরুর গোসত ৫শ টাকা বিক্রি করলেও অনেক লাভ হয়।

তারপরও বেশি লাভ করতে সিন্টিকেট করে এক ধাপে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে এখন প্রতিকেজি ৬শ টাকা করা হয়েছে। যে কারনে ক্রেতারা বাজারে এসে প্রতারিত হচ্ছে। অনেকে ফিরে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন গরুর গোসতের মুল্যবেশি হওয়ায় অনেকে বয়লার, পল্ট্রী ও সোনালী মুরগীর দিকে ঝুকছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাভারনের আবু আহসান নামে এক ক্রেতা বলেন সাড়ে ৫শ টাকার গোসত এখন ৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, নাভারনর বাজারে গরুর গোসতের মুল্য ছিল ৫শ, ৫শ২০/৩০ টাকা। এখন সবাই বলছে প্রতিকেজি ৬শ টাকা। তারপর আবার অনেকে ওজনে কমদেয়।

গরুর গোততের মুল্য এক ধাপে ৬শ টাকা প্রতিকেজি হওয়াতে খেটে খাওয়া দিন মুজুর মানুষের পক্ষে এখন গরুর গোসত কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এক জন দিন মুজুরের দৈনিক আয় রাজমিস্ত্রী ৫শ ৫০ টাকা,হেলফার ৪শ ৫০ টাকা, কৃষি দিন মুজুরের আয় দিন ২৫০ থেকে ৩০০টাকা, ভাটা শ্রমীকের আয় ৩৫০থেকে ৪শ টাকা। এসব শ্রমিকদের পক্ষে ৬শ টাকাকেজি দরে গোসত কেনা সম্ভব না। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীফ রেজা জানা, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন অন্য বাজার থেকে নাভারন বাজারে গরুর গোসতের মুল্য বেশি নিলে বা মুল্য নির্ধারনের সিন্টিকেট হলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১২ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit