জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অন্তঃসত্বা স্ত্রী সাবিত্রী রানীকে (৩০) হত্যার অভিযোগে স্বামীর হিমাংশু চন্দ্রকে (৩৫)আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাজতের একটি কক্ষে রাখা হয় তাকে। এরপর রহস্যজনক কারনে থানা হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু নিয়ে চলছে কেলা জুড়ে তুমুল উত্তোজনা।
শুক্রবার (৭ জানএয়ারী) বিকেলের দিকে উপজেলায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়নয়নের পুর্ব কাদমা মালদাপাড়া থেকে সাবিত্রী রানী নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার স্বামী হিমাংশু চন্দ্রকে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আটক করেন। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাজত খানায় হিমাংসুকে রাখলে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হাতীবান্ধা থানা হেফাজতে থাকা হিমাংশুর চন্দ্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হিমাংশুর গ্রামের বাড়িতে গ্রামবাসী ও স্বজনরা বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পুর্ব কাদমা মালদাপাড়া গ্রামের বিশ্বসর রায়ের ছেলে হিমাংশু রায়ের বাড়ীতে তার স্ত্রী সাবিত্রী রানীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু চন্দ্রে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হিরর্ন্ময়ন বর্মন সাগর জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে।হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একটি রুমে রাখা হলে সেখানে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
কিউএনবি/অনিমা/৭ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ১১:১৭