শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

করোনাক্রান্তদের সুস্থ করে যে খাবার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১০১ Time View

 

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক :  করোনা নিয়ে সংশয় দিন দিন গভীর হচ্ছে। পুরো বিশ্ব জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমন। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। যদিও করোনার এই ধরণ অনেক ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ নিয়ে ধরা দিচ্ছে।

জ্বর সেরে যাচ্ছে ২-৩ দিনের মাথায়। কিন্তু থেকে যাচ্ছে ক্লান্তি, গায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি। তাই বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকছেন অনেকে। অনেকের হয়তো এত গলা ব্যথা যে খাবার খেতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকে হয়তো বাড়িতে একাই থাকেন। তাই কোভিডের ক্লান্তিতে রান্না করাটাও মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।

এমন অবস্থায় কী খাবার খাওয়া উচিৎ যা শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জুগিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহযোগিতা করবে।

পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক জানিয়েছেন, শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, কোভিড রোগীদের সামগ্রিক জীবনযাপনেই নজর দিতে হবে। দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন এবং জরুরি খনিজ ছাড়াও প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম, জল খাওয়া এবং অল্প হাঁটাহাটি করা। কিছু বিষয়ে তাই বিশেষ খেয়াল রাখতে অনুরোধ করছেন তিনি।

দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কি কি –
তিন লিটার তরল শরীরে যেতেই হবে। সবটা পানির মাধ্যমে না খেয়ে, গরম চা, স্যুপ বা কোনও রকম ভেষজ পানীয়ও হতে পারে। যাদের সর্দি-কাশিতে গলার অবস্থা খারাপ, তারা হয়তো ফলের রস, শরবত বা স্মুদি খেতে পারবেন না এ সময়ে। তাই গরম স্যুপ বা চা খাওয়াই ভাল।

আট ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোভিড হলে শারীরিক দুর্বলতা ছাড়াও মানসিক উদ্বেগ থাকে অনেক বেশি। তাই অনেকেরই এই সময়ে ঘুমের সমস্যা হয়। মনে রাখতে হবে, আট ঘণ্টা না ঘুমালে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে না। এতে সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। তাই যে ঘরে নিভৃতবাসে রয়েছেন, সেই ঘরের মধ্যেই ঘুমের আগে আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। খুব দ্রুত বা জোর করে হাঁটার প্রয়োজন নেই। ধীরে ধীরে হাঁটলেই চলবে। দিনেরবেলাও কোনও সময়ে ঘরের মধ্যে আরও ১৫-২০ মিনিট হেঁটে নেওয়া যেতে পারে। কারও যদি দুধে সমস্যা না থাকে, তিনি ঘুমের আগে খানিকটা হালকা গরম দুধও খেতে পারেন।

অযথা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাবেন না। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই নানা রকম প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে ফেলেছিলেন। তাতে তাদের ইউরিক অ্যাসিড অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই শুধু শুধু এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই ভাল।

প্রোটিন খাওয়ার জন্য দিনে একটি ডিম এবং দুটি ডিমের সাদা অংশই যথেষ্ট। লিপিড প্রোফাইলে কোনও রকম সমস্যা না থাকলে দিনে একটি করে ডিম যে কেউ অনায়াসে খেতে পারেন। তা ছাড়া ডাল থেকেও প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে।

করোনার ক্লান্তিতে অনেকেরই রান্না করতে ইচ্ছে করে না। তারা ভাত ফোটানোর সময়ে সেই পাত্রেই একটি পাতলা সুতির কাপড়ে খানিকটা ডাল দিয়ে পুটলির মতো বেঁধে সেদ্ধ করে নিন। এই থকথকে ডালসেদ্ধতে অনেকটা প্রোটিন থাকে। প্রত্যেকটা মিলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ করে খেলেই চলবে। স্বাদ অনুসারে নুন বা কাঁচা তেল দিয়ে মেখে নিতে পারেন।

তিন বার না খেয়ে অল্প পরিমাণে পাঁচ বার খেলে সুবিধা হবে। বিশেষ করে যারা গলা ব্যথায় ঠিক করে খেতে পারছেন না। বিকেলের দিকে একটি মিল দই হতেই পারে। অনেকে মনে করেন, দই খেলে ঠান্ডা লাগবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। দই যে কোনও পছন্দের ফলের সঙ্গে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। আবার লাচ্চি করেও খেতে পারেন। দই থেকেও প্রোটিন যাবে শরীরে।
সূত্র: আনন্দবাজার

কিউএনবি/অনিমা/৫ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:২৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit