স্পোর্টস ডেস্ক : অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হলে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে পানীয় ভাগাভাগি করবেন। এমনটাই আশা করছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড। ২০২৩ সালের সিরিজে এই ঐতিহ্য আর দেখা যায়নি। সিডনিতে সিরিজ শেষ হলে আবার সেই রীতি ফিরুক, এমনটাই চান তিনি।অ্যাশেজ শেষ হওয়ার পর দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের একসঙ্গে পানীয় খাওয়ার রীতি বহুদিনের। তবে ২০২৩ সালে ওভালে পঞ্চম টেস্টের পর তা হয়নি। ইংল্যান্ডের কয়েকজন খেলোয়াড় ও স্টাফের বিদায় আয়োজন দীর্ঘ হওয়ায় এই মিলন হয়নি।
ট্রাভিস হেড বলেছেন, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজ শেষ হলে তিনি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছেন। তিনি দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে অবশ্যই পারস্পরিক সম্মান আছে। ওদের কয়েকজনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। দুই দলের মধ্যেই ভালো সম্পর্ক আছে। আমি ডাকির সঙ্গে বিয়ার খাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’হেড যোগ করেন, ‘তাই এটা সুন্দর একটা মুহূর্ত হবে। সিরিজ জিতে সেখানে যাওয়া অবশ্যই ভালো লাগার।’
পাঁচ টেস্টের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে। অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্ট জিতে তারা আগেই অ্যাশেজ ধরে রেখেছে। ২০২৩ সালের সিরিজে দুই দলের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ বিতর্কে। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির থ্রোতে জনি বেয়ারস্টোর রান আউট নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। লর্ডসের লং রুমে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা দর্শকদের কটু কথা শুনতে হয়।
সেই সময় ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বিবিসিকে বলেছিলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একসঙ্গে পানীয় খাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। পরে ওভালে শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ ২-২ ড্র করার পর তিনি মত বদলান। তিনি বলেন, ইংল্যান্ড পানীয় ভাগাভাগি করবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
এরপর সামাজিক মাধ্যমে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, অস্ট্রেলিয়াকে উপেক্ষা করা হয়নি। খেলোয়াড় ও স্টাফদের বিদায় আয়োজন দীর্ঘ হওয়াতেই দেরি হয়েছিল। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামী ৪ জানুয়ারি সিডনিতে।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৩:০০