রাজনীতি ডেক্স : দীর্ঘ নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা শুধু একজন নেতার প্রত্যাবর্তন নয়, এটি দেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। প্রায় ১৮ বছর পর তাঁর ফিরে আসাকে বিএনপি দেখছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে। দলটির নেতাকর্মীদের মতে, বিভাজন আর অনিশ্চয়তায় ক্লান্ত বাংলাদেশের মানুষ আবারও একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক দিশা খুঁজে পাচ্ছে। তারেক রহমানের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি পরিষ্কার দর্শন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’।
প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তারেক রহমান আশাবাদী। তাঁর মতে, সঠিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে বাংলাদেশের তরুণরাই ভবিষ্যতে বৈশ্বিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার নেতৃত্ব দিতে পারে। এই স্বপ্ন তরুণদের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমান নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। ডান, বাম ও মধ্যপন্থী বিভাজনের মধ্যে তিনি এমন এক অবস্থানে দাঁড়াতে চান, যেখানে জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাইকে একত্র করা সম্ভব। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন এমন একজন নেতা, যাঁর রাজনীতির মূল ভিত্তি মা, মাটি ও মানুষ।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের নতুন ইনিংস। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই তিনি এগোচ্ছেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই পথচলায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রচিন্তার মূলমন্ত্র হয়ে উঠবে।