মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দেশের উত্তর অঞ্চলরের একমাত্রা দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রটির কারণে ৩য় ইউনিটটি এর উৎপাদন বন্ধ। মাঝে মাঝে তা জোড়া তালি দিয়ে চালু করা হয়। কিন্তু বর্তমানে তা সংস্কার করতে ব্যয় হচ্ছে ৩০৫ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক উৎপাদনশীল ৩য় ইউনিট থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১লা নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর অঞ্চলের ভারী, মাঝারি শিল্পকারখানা গুলো ও বোর ধান সেচ মৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সংকট বিরাজ করছে। দিনাজপুরের পার্শ্বতী কয়লাখনি উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট নির্মাণকৃত ৩টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে ২নং ইউনিটটি প্রায় ০৮ বছর ধরে অকেজ অবস্থা পড়ে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে এক সময় ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হত মাত্র ৬০-৭০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ।
সেই ইউনিটিও এখন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ০১নং ইউনিটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়। গত ০৫ বছর আগে ৩য় ইউনিটি নির্মাণ করা হয় এবং যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াড। উৎপাদনে যাওয়ার পরেও এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছিল তার কোন হিসাব নেই। গত ২০ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ০৩নং ইউনিট ও ০১ নং ইউনিরট বন্ধ হয়ে যায়। ০১, ০২ ও ০৩নং ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।
যার কারনে ০২নং ইউনিটটি ০৮ বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৫শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কমরত রয়েছেন। এদের পিছনে বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের কোটি কোটি ব্যয় করছে। ০৩টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর অঞ্চলে কৃষিতে ও শিল্পতে বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে। উত্তর অঞ্চলের অনেক জেলায় বিদ্যুতের চরম দুর্ভোগে পড়ে শিল্প কলকারখানা সহ আবাসিক এলাকাগুলো। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আগামী মার্চ ২০২৬ইং সালে ৩য় ইউনিটটি পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ০১নং ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রেডে ৫০ মেগাওয়ার্ড বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ৩য় ইউনিটটি চীনা হারবিন কোম্পানির মেরামত কাজ শুরু করেন। এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির এমনই অবস্থা যে ওভার হোলিং এ বিপুল পরিমান টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। যা দিয়ে নতুন একটি ইউনিট নির্মাণ করা সম্ভব বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৫:১৮