আলমগীর মানিক,রাঙামাটি : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বনবিভাগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় ইউপিডিএফ। এ ঘটনায় আশরাফুল আলম নামে এক বনরক্ষি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হামলায় কার্যালয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে সাজেকের মাচালং দক্ষিণ একুইজ্জাছড়ি এলাকায় বনবিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে ইউপিডিএফ নেতা সচিব চাকমার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ভাবে লাঠি সোঠা নিয়ে বনবিভাগের কর্মীদের উপর আক্রমণ করে ইউপিডিএফ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী কর্মীরা।

পরে তারা মাচালং বাজারে বনবিভাগের কার্যালয়ে আক্রমণ করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় লুৎফর রহমান নামে এক বনরক্ষিকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায়। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে ইউপিডিএফ এর অপহরণের হাত থেকে বনরক্ষি লুৎফর রহমানকে উদ্ধার করে। ইউপিডিএফ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী সন্ত্রাসীরা পরে গাছ কেটে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সাজেক সড়কে যানচলাচল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এতে সাজেকে বেড়াতে আসা শতশত পর্যটক ও সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার মেয়ের বিয়েতে আসা অতিথিরা আটকে পরে।
সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী সড়কের গাছ সড়াতে গেলে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী কর্মীরা সেনাবাহিনীর সাথে চরমভাবে বাঝে ব্যাবহার করে উসকানি দিতে থাকে। সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ এর পাঁতা ফাঁদে পা না দিয়ে কৌশলে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে। এই ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে শতাধিক লোককে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বিষয়টি শিকার করে বলেন এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক এখানে বহিরাগত লোকজন এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, মামলা হলে প্রশাসন আইনগত পদক্ষেপ নিবে।
এদিকে সাজেক বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান বনের জমিতে ইউপিডিএফ স্কুল এর নামে জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে এর আগে বহুবার নিষেধ করা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে তারপর ও ইউপিডিএফ বনের জমিতে স্থাপনা তৈরি করছে। আজ বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায় কার্যালয় ভাংচুর চালায়। এই মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র অনুযায়ী, উক্ত স্থানে সর্বপ্রথম ২০১২ সালে একটি ব্র্যাক স্কুল স্থাপন করা হয়েছিল। তবে অনুদানের অভাবে ২০১৯ সালে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের শুরুতে পুনরায় সেখানে স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বন বিভাগ ওই স্থানে নির্মাণকাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত উক্ত স্থানে স্কুল নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রোববার (১৩ ডিসেম্বর-২০২৫) তারিখে আবারও স্কুল ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৫:৩০