ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সকালে ঢাকার মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৮টায় এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সকাল ৯টায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান, বিভিন্ন স্কুলের ডিন ও বিভাগের পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির বিবেক ও শ্রেষ্ঠ সন্তান। তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসক গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
তিরি আরও বলেন, বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নই হবে তাঁদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।
এর আগে, ভোর ৬ টা ৩১ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া গাজীপুর ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
একই সঙ্গে সারাদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৪ ডিসেম্বর ২০২৫,/দুপুর ২:০৮