বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

কমরেড আব্দুল ওয়াজেদ এর সহধর্মীনি আনোয়ারা খাতুন ও পরিবারের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন॥

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২৮ Time View

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : ১০দিন অতিবাহিত হলেও সাংবাদিকের মায়ের বর্বরোচিত হামলার মামলা রেকর্ড করেনি পার্বতীপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে রংপুরের ডিআইজি আমিনুল ইসলামকে অবগত করলেও কখন ব্যবস্থা হবে এ বিষয়ে আশংকা রয়েছে ভুক্তভোগীর আর্তনাদ। প্রয়োজনে সাংবাদিকরা তার পরিবারে হামলার বিষয়ে দুর্বার আন্দোলন এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ এই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চলে এমন কতিপয় চাটুকারেরা এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার প্রগতিশীল বাম রাজনৈতিক নেতা কমরেড ওয়াজেদ বিগত ২০২২ সালে দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় তার সহধর্মীনির উপরে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন এবং হামলার শিকার হলেও নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না প্রশাসনিক দপ্তর থেকে। সম্প্রতি একটি হামলার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী দুলাল পিতা গিয়াস উদ্দিন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী ইউনুছ পিতা আমিন পাগলা একই উপজেলার চৈতাপাড়ার গুন্ডা মকবুল হোসেন এই পরিবারের উপরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা থেকে শুরু করে অসংখ্য ক্ষতি সাধনের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে পার্বতীপুর থানার দায়িত্বরত এএসআই স্বপ্ন মিয়া বিবাদী পক্ষদের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করেছেন এমনকি তাদেরকে সহায়তা করার চেষ্টা করতেছেন পার্বতীপুর থানার পুলিশ প্রশাসন।

এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় কিছু অসৎ মাদক সেবনকারী ও কথিত ভাড়াটিয়া রাজনৈতিক নেতারা তাই তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভুক্তভোগী কমরেড ওয়াজেদ আলীর সহধর্মীনি আনোয়ারা বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে গতকাল পার্বতীপুরের একাধিক সাংবাদিক মামুনুর রশিদ বিপ্লব, জবা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিল্পী, ওয়াহেদুল ইসলাম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠিনক সম্পাদক তামিম ইকবাল পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট দাবী করেছেন কমরেড আব্দুল ওয়াজেদের সহধর্মীনি একজন প্রগতিশীল সাংবাদিকের মা তার উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করা না হলে আন্দোলনে যাওয়া হবে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতা ও যুগান্তরের প্রতিনিধি মুসলিমুর রহমান মুসলিম ও ইনকিলাবের প্রতিনিধি ও জাসদের নেতা আব্দুল জলিল যৌথ বিবৃতিতে বলেন আমাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যদি ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তাহলে প্রয়োজনে অনশন ধর্মঘটের ডাক দিতে দ্বিধাবোধ করবো না। তারা আরও বলেন একজন সাংবাদিকের বৃদ্ধ মায়ের উপর হামলা করা হয়েছে সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন। আনোয়ারা বেগম (৭৩) (জাতীয় পরিচয়পত্র নং-২৭১৭৭৪৩৬২৭৫২২) স্বামী-মৃত ওয়াজেদ আলী, সাং- পূর্ব হোসেনপুর নামাপাড়া, হরিরামপুর, থানা-পার্বতীপুর, জেলা-দিনাজপুর। আসামী ১। মোঃ ইউনুছ (৫০), পিতা-মৃত আমিন ২। মোঃ দুলাল (৪০), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন, ৩।

মোঃ ইমরান বাবু (২৫), ৪। মোঃ বাবু ইসলাম (২৭), উভয় পিতা-মোঃ ইউনছু, ৫। মোঃ মকবুল ইসলাম (৫৫), পিতা-মৃত অজ্ঞাত, ৬। মোছাঃ আদুরী খাতুন (৩৫), স্বামী-মোঃ মকবুল হোসেন, ৭। দয়ালী বেগম (৩৮), স্বামী-মোঃ ইউনুছ ৮। মোছাঃ অজিফা বেগম (৫৮), স্বামী-মৃত গিয়াস উদ্দিন, সর্ব সাং- পূর্ব হোসেনপুর নামাপাড়া, হরিরামপুর, থানা- পার্বতীপুর, জেলা-দিনাজপুরগণ পূর্ব হইতে বিভিন্ন বিষয় নিয়া আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের সাথে শত্রুতা মনোভাব পোষণ করিয়া আমাদের জান ও মালের বড় ধরণের ক্ষতি করার জন্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮/১১/২০২৫ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় পূর্ব হোসেনপুর নামাপাড়াস্থ আমার বাড়ীর সামনে মাটির রাস্তায় হাতে লাঠি সোঠা নিয়া বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া আমার ও আমার নাতি মোঃ রুবাইত ইসলাম অর্পন (২০), মোঃ আনিছুর রহমান (৫৫) এর দেখা পাইয়া চতুর্পাশ ঘিরিয়া ধরিয়া আটক করতঃ ১নং আসামীর হুকুমে ১নং আসামী সহ সকল আসামীরা আমাদের সর্ব শরীরে এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুমি মারিয়া ও লাঠি সোঠা দিয়া আঘাত করিয়া ছিলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে।

একপর্যায়ে ১নং আসামী তাহার হাতে থাকা মোটা বাঁশের লাঠি দিয়া আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে। যা আমার মাথার মাঝ বরাবর লাগিয়া নীলা ফুলা জখম হয়। আমি তখন মাটিতে পড়ে গেলে ৬নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দুই হাত দিয়া আমার গলা চাপিয়া শ্বাসরুদ্ধ করিতে থাকে। আমার ছেলে ও নাতি তখন আগাইয়া আসিয়া ৬নং আসামীকে ধাক্কা দিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। এরই সুযোগে ৭নং আসামী আমার শাড়ির কোছ হইতে ১,৩০,০০০/- টাকা বাহির করিয়া নেয়। আমাদের ডাক চিৎকার শুনিয়া সাক্ষী ১। মোঃ তৌফিকুর রহমান (২০), পিতা-আতিকুর রহমান, ২।

মোঃ মাহাবুব (৩৫), পিতা-মোফাজ্জল হোসেন, ৩। মোঃ রাশেদ (৩০), পিতা-মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সর্ব সাং- পূর্ব হোসেনপুর নামাপাড়া, থানা-কোতয়ালী মেট্রো, রংপুর মহানগর, রংপুরগণ সহ আরো অনেকে আগাইয়া আসিয়া আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার কালে আসামীরা খুন জখমের হুমকি প্রদান করিতে থাকে। সাক্ষীরা প্রথমত আমাকে অপরিচিত ভ্যান যোগে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যায় এবং সেখানকার চিকিৎসক আমার গুরুতর অবস্থা দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরিবারের লোকজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেই অনুযায়ী ভর্তি করায়। আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হইতে চিকিৎসা গ্রহণ করিয়া ছাড়পত্র প্রাপ্ত হইয়া বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোস-মীমাংসার চেষ্টায় সময় অতিবাহিত হওয়ায় থানায় আসিয়া এজাহার করিতে বিলম্ব হইল।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করবো এবং দিনাজপুরের পুলিশ সুপার দম্ভ করে বলেন যে এই পরিবারের উপর পার্বতীপুর থানায় কোন মিথ্যা মামলা হবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম দৈনিকের বিশেষ প্রতিনিধিকে বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক নিবিড় তাই সাংবাদিকের পরিবারে হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সন্ত্রাসীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন কোন না কোনভাবে তারা দুর্বল তাই যে কোন মুহূর্তে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কড়া নির্দেশ প্রদান করা আছে দিনাজপুর পুলিশ প্রশাসনকে।

 

কিউএনবি/আয়শা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৩:৫৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit