আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভেনেজুয়েলার উপকূল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ‘মাদক পাচারকারী’ নৌযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলা তদন্তে বিশেষ কমিশন গঠন করবে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় পরিষদ। পার্লামেন্টটির প্রেসিডেন্ট হোর্হে রদ্রিগেজ রবিবার এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রদ্রিগেজ বলেন, তাদের তদন্তে শুক্রবার প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই করে দেখা হবে, যেখানে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ সেপ্টেম্বরে এক হামলায় একটি নৌকায় থাকা সবাইকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেঁচে যাওয়া দুইজনকে হত্যায় পরে দ্বিতীয় দফা হামলাও চালানো হয়, বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সংবাদ সম্মেলনে রদ্রিগেজ বলেন, “আমরা ব্যাপক ও নিবিড় তদন্ত করতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, তদন্তে ভেনেজুয়েলার কৌঁসুলির কার্যালয়ও যুক্ত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে ভেনেজুয়েলার আশপাশে কথিত ‘মাদক পাচারকারী নৌযানে’ একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের সৈন্য সমাবেশও দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটন বলছে, মাদুরো ও তার সরকারের সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের যোগসাজশ আছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের ভান, তাদের মূল লক্ষ্য ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। এজন্যই তারা ভেনেজুয়েলায় সরকার বদলাতে চায়।
শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, ভেনেজুয়েলা ও এর আশপাশের আকাশসীমা ‘পুরোপুরি বন্ধ’ বলেই সবার ধরে নেওয়া উচিত। এ সম্বন্ধে তিনি আর বিস্তারিত না বললেও একে ভেনেজুয়েলার ওপর আসন্ন মার্কিন হামলার ইঙ্গিত বলে অনেকে মনে করছেন।
ভেনেজুয়েলার সরকার ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে তাদের সার্বভৌমত্বের ওপর ‘ঔপনিবেশিক হুমকি’ আখ্যা দিয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/ ০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/দুপুর ২:২০