স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের শার্শায় অপহরন, মারধর ও জোরপূর্বক ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ায় শার্শা থানায় দায়ের করা অভিযোগের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার। এ বিষয়ে দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের আব্দুল আজিতের ছেলে আসাদুল ইসলাম(২৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন উলাশী’র মাটিপুকুর গ্রামের যুবক হাসিবুর রহমান(২১) সে মাটিপুকুর গ্রামের মোঃ ইয়াকুব আলীর ছেলে।
অভিযোগে হাসিবুর জানান গত ২১ নভেম্বর বিকালে কেশবপুর উপজেলার বাউশালা গ্রামের বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন সে। এ সময় বুরুজবাগান গ্রামের আব্দুল আজিতের ছেলে আসাদুলসহ ৪/৫জন জোর করে হাসিবুরকে একটি প্রাইভেট কারে তুলে অপহরন করে আসাদুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় একটি রুমে নিয়ে হাসিবুরকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের এক পর্যায় ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসিবুরের মোবাইল ফোন থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা তুলে নেয় অপহরনকারীরা।
এ সময় অপহরনকারীর মুল হোতা আসাদুল জোরপূর্বক ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার একটি স্টাম্প লিখে তাতে স্বাক্ষন করিয়ে নেয়। যার ক্ষতির পরিমান ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। হাসিবুর জানায় ঘটনা শুনে তার মামা সুমন ও খালা ঝর্ণা খাতুন তাকে ছাড়াতে যায়। এ সময় অপহরনকারীরা ২৩ নভেম্বর তারিখে ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা ও ২৮ নভেম্বর বাকী ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা পরিশোধের শর্তে সুমন ও ঝর্না খাতুন হাসিবুরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এমন ঘটনার পর হাসিবুরের পরিবার শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় অভিযোগকারী পরিবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেন। অভিযোগের পরেও পুলিশের কোন ভুমিকা না থাকায় ২৩ নভেম্বর হাসিবুরের পরিবারের কাছ থেকে আসাদুল ও জিয়া ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা নেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগি হাসিবুরের পরিবার জানান, অপহরনকারীরা ২লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা নেওয়ার পর বাকি টাকা নিয়ে বারবার ফোনে হুমকি প্রদর্শন করছে।
দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের জামালের ছেলে জিয়াউর রহমান(৪৮) বারবার ফোন করে টাকার তাগিত দিচ্ছে। টাকা না দিলে পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ এমন ঘটনায় শার্শা থানার পুলিশ গত ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।আসামীকে আটক করেনি। উল্টা আসামীরা তাদেরকে পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। যে কারনে হাসিবুরের পরিবার গত ৭ দিন ধরে মাটিপুকুর নিজ বাড়িতে গৃহবন্ধি হয়ে আছে। পরিবারের অভিযোগ আসামীদের ভয়ে হাসিবুরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেনি। যে জন্য হাসিবুর এখন নিজ বাড়িতে পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুরুজবাগান গ্রামের একাধিক ব্যাক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আজিতের ছেলে আসাদুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক বিক্রি ,সন্ত্রাসী , চাঁদাবাজী, অপহরন সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক অভিযোগ থাকলেও শার্শা থানা পুলিশের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। তারা অপরাধী আসাদুলের শাস্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলীম জানান অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১১:২৮