ডেস্ক নিউজ : ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাক্ষাৎ-এর ছবিটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। বিশ্বমিডিয়া তখন ঘটনাটিকে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের দীর্ঘদিনের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে। বলা হয়, ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন গতি’।
এ মাসের শেষের দিকে জেইসির নবম অধিবেশন বসছে ঢাকায়। যাকে বলা হচ্ছে, কেবল একটি অর্থনৈতিক ফোরাম নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রতীকী ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, এ বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস, আঞ্চলিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণের একটি শক্তিশালী কাঠামোগত উদ্যোগ। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের বর্তমান পুনর্জাগরণকে কেবল অতীতের রাজনৈতিক বরফ গলানো হিসাবে দেখা যথেষ্ট নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়ার নীতি-রাজনীতির পুনর্গঠনের সূক্ষ্ম সূচনা।
জেইসি বৈঠক এ পুনর্গঠনের প্রতীকী ও বাস্তব দুই দিকেই প্রভাব ফেলছে, যা কয়েকটি স্তরে ব্যাখ্যা করা যায় : ১. একমুখী পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন বহুমুখী কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আগে যা ছিল ভারতকেন্দ্রিক, তা এখন বহুস্তরীয় চেহারা পেয়েছে। বাংলাদেশ যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী, তার প্রামাণ্য দলিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান নৈকট্য।
২. পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আবেগ নয়, বরং বাস্তবতাভিত্তিক কৌশলগত স্বার্থই যে গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশ সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের নিবিড়তা বৃদ্ধি ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবেগের বাইরে এসে বাস্তবভিত্তিক কৌশলগত পথে চলতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
৩. বিশেষভাবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, জেইসি আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের নীতি এখন অর্থনৈতিক নিরাপত্তানির্ভর পররাষ্ট্রনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে বাণিজ্য, মুদ্রা, বিনিয়োগ এবং বাজার অ্যাকসেস ইত্যাদি বিষয় জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার অংশ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
৪. পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাতন্ত্র্যবাদী অবস্থান ও স্বাধীন কূটনীতি কৌশলের পরিচয় দিতে চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, এ অঞ্চলের অপরাপর শক্তিগুলোর দিক থেকে দ্বন্দ্ব বা সংঘাত এড়িয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে নীতি ও কৌশলগত সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে।
স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রমশ একটি স্বতন্ত্র ও ভারসাম্যপূর্ণ পথে এগোচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপ, চীনের ভূ-অর্থনৈতিক ব্লকের (BRI Corridor) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সংযোগকে পুনরুজ্জীবিত করছে। এসব পররাষ্ট্রনীতিগত পদক্ষেপের ফলে বঙ্গোপসাগর হয়ে উঠছে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার কেন্দ্র। আর বাংলাদেশ এ অঞ্চলে একটি ‘মেরিটাইম ডিপ্লোমেসি হাব’ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়েছে, যা জুলাই ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির গতিধারাকেও উপস্থাপন করছে।
সন্দেহ নেই, জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতির মানচিত্রে একটি নতুন গতি যোগ করছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংলাপ পুনর্জাগরণ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) নিষ্ক্রিয়তাকে নতুন আঞ্চলিক মৈত্রীর সক্ষমতার স্তরে নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের মানবিক ও উন্নয়নভিত্তিক সহযোগিতার দিকগুলোকেই পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখছে। বাংলাদেশ সম্ভবত চেষ্টা করছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বিভাজনের অভিজ্ঞতা থেকে উত্তরণের পথ প্রশস্ত করতে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠিত আঞ্চলিক ভূরাজনীতির সূচনা করতে পারে।
আরেকটি অগ্রগতি জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুনর্গঠিত ভূরাজনীতির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর তা হলো, বাংলাদেশ-তুরস্ক আকাশ প্রতিরক্ষা চুক্তি। এতে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিস্থিতি পালটে দেওয়ার মতো এক যুগান্তকারী সামরিক ঘটনার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে পুরো অঞ্চল, যার নেতৃত্বে আছে বাংলাদেশ। মিডিয়ার খবরে প্রকাশ, আঙ্কারার সঙ্গে ঢাকার একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। যার আওতায় অত্যাধুনিক এসআইপিইআর দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও তুরস্কের সক্ষমতা-প্রমাণিত যুদ্ধ-ড্রোন হাতে পেতে চলেছে ঢাকা।
এশিয়া টাইমসের এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে কেবল একটি অস্ত্র চুক্তি মনে হলেও বাস্তব প্রেক্ষাপটে এটি আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলোর মাঝে সুকৌশলে নিজেদের পথ তৈরি করে নেওয়া একটি জাতির স্বাধীনতার সাহসী সামরিক অঙ্গীকার। বাংলাদেশের জন্য এটি তার ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রশ্ন, অন্যদিকে তুরস্কের জন্য এটি বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের সামরিক শক্তির কৌশলী প্রদর্শনী। আর প্রতিবেশী ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে এটি এক নতুন, অপ্রত্যাশিত এবং নিরন্তর কৌশলগত মাথাব্যথার জন্ম দিয়েছে।
শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, পুরো আঞ্চলিক পরিস্থিতিতেই ভারত বর্তমানে রয়েছে কোণঠাসা অবস্থায়। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চাপ চলছে ভারতের। ট্রানজিট ও বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা ভারতের অবস্থানকে সংকীর্ণ করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের কার্যক্রম বাংলাদেশ বিরোধিতার প্রমাণ দিচ্ছে, যার মধ্যে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও মিডিয়ায় বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা অন্যতম। সর্বশেষ তথ্য হলো, ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই ডিভিশনের চাম্পারহাওড় জেলার বিদ্যাবিলে কুপিয়ে এবং তির মেরে তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করে ভারতীয়রা। ভিকটিমের পরিবার বলছে, সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে ভারতীয়রা তাদের হত্যা করেছে।
১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের বাল্লার সীমান্তে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ১৭ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জঘন্য ওই হত্যাযজ্ঞ সর্বজনীন মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন, যা চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশ সরকার এ শোচনীয় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করতে এবং এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্তের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, জাতীয়তা নির্বিশেষে ব্যক্তির মানবাধিকারের পূর্ণ সুরক্ষা জরুরি।
নেপালের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রটিতে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণে তীব্র ভারত-বিরোধিতা বিদ্যমান। নেপাল দীর্ঘকাল ধরে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপাল ভারতের নীতিমালা ও সীমান্তবিষয়ক অবস্থানের বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। বিশেষ করে কাঠমান্ডু ও দিল্লির মধ্যে বাণিজ্য, পানিবণ্টন, সীমান্ত ইস্যু এবং ভূরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ লক্ষ করা গেছে। এ অবস্থায় নেপাল চীনের সঙ্গে অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করছে। নেপালের তরফে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পে অংশগ্রহণ, রেলওয়ে ও সড়ক সংযোগে বিনিয়োগ সে দেশে ভারতের প্রভাবকে সীমিত করছে।
অন্যদিকে, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা বহুকাল ভারতের প্রভাব কেন্দ্রের অংশ হলেও দেশটির অর্থনৈতিক সংকট এবং ঋণ সমস্যা ভারতের প্রভাবকে সীমিত করছে। বিশেষ করে চীনের বিনিয়োগ-যেমন হাম্বানটোটা বন্দর ও অন্যান্য অবকাঠামোগত প্রকল্প শ্রীলংকাকে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ করছে। তাছাড়া ভারতের উপস্থিতি ও নীতি শ্রীলংকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে, যা ভারতের আঞ্চলিক প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছে। এছাড়া ভারতের নীতি নিয়ে শ্রীলংকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে আরও জটিল করছে।
আরেক দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা ও নীতি সম্পর্কিত সহযোগিতায় দীর্ঘদিন যুক্ত থাকলেও সাম্প্রতিক নির্বাচনি ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে ভারতের প্রভাব থেকে সরে আসছে। চীনের বিনিয়োগ, বিশেষ করে বন্দর, হোটেল ও পর্যটন খাতে মালদ্বীপকে ভারতের প্রভাবের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। মালদ্বীপের অবস্থান ভারত ও চীনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় চীন ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সেখানে ভারতের নীতি প্রয়োগকে সীমিত ও জটিল করেছে। দেখা যাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে বর্তমানে কোনো প্রতিবেশী দেশেরই সুসম্পর্ক নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতের নীতি ও শাসনের প্রতি বিরোধিতার কারণ বহুমাত্রিক। প্রতিটি দেশ নানাভাবে ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ, বিরক্ত বা অসন্তুষ্ট। একসময় ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাংলাদেশও জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে নিজের ভূরাজনীতিকে পুনর্গঠন করেছে। এ পুনর্গঠন দেশকে স্বকেন্দ্রিক, মাল্টিভেক্টর এবং স্বাধীন নীতি গ্রহণের সক্ষমতা প্রদান করেছে। ফলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রভাব ও কৌশলগত অবস্থান হ্রাস পাচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শক্তি ভারসাম্যকে নতুনভাবে রূপান্তরিত করছে, যার প্রভাব ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতীয়মান হবে।
বাংলাদেশের জন্য পরিবর্তিত আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি সুযোগ হিসাবে দেখার পরিসর তৈরি হয়েছে, যার সঠিক ও উপযুক্ত ব্যবহার করার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রধানত নিজের সমৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে নজর দিতে পারবে; যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বন্দর ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারবে। তাছাড়া রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বাধীনতা ব্যবহার করে আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে বাংলাদেশ। বিশেষত, রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু, সীমান্ত নিরাপত্তা, পানিবণ্টন সমস্যা, নদী ও সমুদ্রসীমা সম্পর্কিত ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থে পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধির সহায়ক হবে।
ড. মাহফুজ পারভেজ : প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কিউএনবি/আয়শা/১৯ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:১৫