দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাত ১১ টা সাড়ে ১১ টার দিকে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান তারা। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ছুঁটে আসেন বাজারে। দোকানীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ারসার্ভিসে খবর দেন। পরে খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রথমে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেন।
তবে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে জিরাবো ফায়ার সার্ভিস থেকে আরো ২টি সহ মোট ৫টি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুন পুরোপুরি নিভাতে আড়াই ঘন্টার মত সময় লাগে। আগুনের ঘটনায় টিনের লাইব্রেরি, কাপড়ের জুতার ও মুদির দোকান সহ অন্তত ১৭ টি দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। এতে কোটি-কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যাবসায়ীদের দাবী।
সামি লাইব্রেরির মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার দোকানে অন্তত এক কোটি টাকার উপরে মালামাল ছিল বলে দাবী করেন। সাদ্দাম হোসেনের মুদি দোকানে মাস দুয়েক আগে ২২ লাখ টাকা এনজিও থেকে লোন করে মালামাল উঠিয়েছেন, আহাদ নূর আলমের মুদি দোকানে প্রায় ৫০ লাখ, মাহাবুবের মুদি দোকানে ৫০ লাখ, জুম্মান মুন্সী মুদি দোকানে ২০-২২ লাখ, জুবায়েরের মুদি দোকানে ১৮-২০ লাখ, আশরাফ মিয়ার মুদি দোকানে ১৫লাখ, আবুলের মুদি দোকান ও শাহিনের মুদি দোকান সহ অন্তত কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের দাবী।
এছাড়া বাজারের বাইরে কেরু বেপারী মার্কেটের ইমরুলের কাপড়ের দোকান, লিজু মোল্লার কাপড়ের দোকান, মঞ্জুর কাপরের দোকান, আব্দুস সবুরের জুতার দোকান এবং আরিফের জুতার দোকানে আগুন লাগে। এতে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।দোকান মালিকদের দাবী, তারা বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে লোনে টাকা নিয়ে দোকানে মালামাল তুলেছিল। এখন তারা নি:স্ব হয়ে গেছে। সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।