ডেস্ক নিউজ : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় জেলাগুলোতে প্রশাসনের লোকবলের পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদেরও নিয়োগ দেওয়া উচিত।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ‘নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা-২০২৫’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ২০০৮ সালের সেনা সমর্থিত সরকারের সময়কার এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসি কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা স্থানীয় নির্বাচনে নিয়োগ শুরু করেছিলাম। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেই নির্বাচন আমাদের একটি সেরা নির্বাচন ছিল। এখানে সমস্যা হচ্ছে প্রশাসন যার কাছে থাকে, সেখানে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বড় জেলায় যেখানে বেশি আসন আছে, সেখানে একাধিক রিটার্নি কর্মকর্তা নিয়োগ করে, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এখন ইসির কর্মকর্তারা অনেক অভিজ্ঞ হয়েছে। অন্তুত ১৪, ১৫ জনকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের সহযোগিতায় দ্য ডেইলি স্টারের সভাকক্ষে শনিবার (১১ অক্টোবর) সভাটি আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে ও বিজেসির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও আরটিভির হেড অব নিউজ ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএফইউজে-এর মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, আরএফইডি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল), সাধারণ সম্পাদক গোলামী রাব্বানীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের জন্য নীতিমালা, অথচ গণমাধ্যমের সঙ্গে বসা হচ্ছে না। এটা তো হতে পারে না। সাংবাদিকরা হচ্ছে সবচেয়ে বড় পর্যবেক্ষক। তাহলে তাদের সঙ্গে কেন বসা হচ্ছে না, সে প্রশ্নও তোলেন তারা।
কিউএনবি/আয়শা/১১ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৪৫