ডেস্ক নিউজ : দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। জুলাই-আগস্ট থেকে শুরু করে দলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের পাশাপাশি বিগত ১৬ বছরের গুম খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করবে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর আগে গত ৫ অক্টোবর প্রেস ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেন চিফ প্রসিকিউটর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে গত বছরের ২ অক্টোবর একটি অভিযোগ দিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে একটি রাজনৈতিক দল। সেটার ভিত্তিতে তদন্ত করছি। সুতরাং এই মুহূর্তে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপরাধী সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রাথমিক তদন্তের কাজটা আমরা শুরু করতে যাচ্ছি।
পুরোদমে শুরু হলে আমরা বলতে পারব দলটির বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারটা কতদূর রয়েছে। তবে অভিযোগটি আমরা এখন গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন সূত্র। এদিকে, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজ শেষ সাক্ষীর ৩য় দিনের জেরা অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী।
এর আগে, গতকালও তাকে দিনভর জেরা করা হয়।জেরায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, কোনো চাপে নয়, সত্য উদঘাটনের স্বার্থেই তিনি রাজসাক্ষী হয়েছেন। তিনি আরও জানান, জুলাইয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় ২৫ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৫৪তম সাক্ষীর জেরা শেষ হলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হবে। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, জুলাই গণহত্যায় জড়িত কেউই বিচার এড়াতে পারবে না।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৪:৩৪