আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপের বিভিন্ন শহরে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। গাজায় দুই বছর ধরে চলা ইসরাইলি নৃশংসতার অবসান এবং মানবিক সাহায্য দ্রুত পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া মেরিকে ভ্যান জিল বলেন, রক্তপাত বন্ধ হতে হবে। আমাদের এই দুর্বল সরকারের কারণে এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। আশা করি আমাদের এই প্রতিবাদ কিছুটা প্রভাব ফেলবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবাদের আয়োজন করেছে এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। ‘ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য সব অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায় ব্যবহার করতে হবে,’ বলেছেন এজেন্সির মুখপাত্র মারজন রোজেমা।
নেদারল্যান্ডসে সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণ হলেও, তুরস্কেইসলামী একাত্মতার প্রতীকী আন্দোলন নজর কেড়েছে। ইস্তান্বুলে হাজার হাজার মানুষ হায়া সোফিয়া মসজিদ থেকে গোল্ডেন হর্নের তীর পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে।
আঙ্কারাতেও বিক্ষোভকারীরা পতাকা ও ব্যানার নিয়ে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে। কিরিককালে ফিলিস্তিনি সহায়তা প্ল্যাটফর্মের রেজেপ কারাবাল জানিয়েছেন, এই নিপীড়ন দুই বছর ধরে চলছে এবং গণহত্যায় রূপ নিয়েছে।
বার্সেলোনার কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ মার্চ করেছেন, অস্ত্র ব্যবসা ও ইসরাইলের সঙ্গে সব সম্পর্ক বন্ধের দাবি জানিয়েছে। সোফিয়াতে বুলগেরিয়ান বিক্ষোভকারীদের হাতে লেখা ছিল: ‘গাজা শিশুদের সবচেয়ে বড় সমাধিক্ষেত্র।’
মরক্কোর রাজধানী রাবাতে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি ইসরাইলি পতাকা পুড়িয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
কিউএনবি/আয়শা/০৭ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১২:০০