আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববার (৫ অক্টোবর) সিরিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যরা নতুন আইনপ্রণেতাদের ভোট দেয়ার জন্য একত্রিত হন। আর এই প্রক্রিয়াকেই ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে সমালোচনা করছেন অনেকে, যেখানে দেশটির অন্তর্বর্তী নেতা আহমেদ আল-শারা’র মাধ্যমে পুনর্গঠিত পিপলস অ্যাসেম্বলির ২১০ সদস্যের এক-তৃতীয়াংশকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাকি প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের ভোটে নয়, বরং সারা দেশের ইলেক্টোরাল কলেজগুলোর মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। সমালোচকরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের পক্ষে এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করার পরিবর্তে সিরিয়ার নতুন শাসকদের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত মাসে এক যৌথ বিবৃতিতে, এক ডজনেরও বেশি বেসরকারি সংস্থা বলেছে যে এ ধরনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অর্থ হলো আল-শারা ‘কার্যকরভাবে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা গঠন করতে পারেন, যা তিনি নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বা যাদের কাছ থেকে আনুগত্য নিশ্চিত করেছেন।’
এটি ‘যেকোনো প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য বহুত্ববাদের নীতিকে ক্ষুণ্ন করার’ ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি, ফ্রান্স-ভিত্তিক সিরিয়ানস ফর ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক বাসাম আলাহমাদ আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আপনি এই প্রক্রিয়াটিকে আপনার পছন্দের নাম দিতে পারেন, কিন্তু এটি নির্বাচন নয়।’
এদিকে, দামেস্কের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে উত্তেজনার কারণে অশান্ত দ্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ সুওয়াইদা এবং কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
দামেস্ক থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ওসামা বিন জাভেদ বলেছেন, ‘নতুন পরিষদের ভোট ইলেকশন এবং সিলেকশনের মধ্যে একটি হাইব্রিড মডেলের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক প্রচারণা নেই, কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।’
সূত্র: আল জাজিরা
কিউএনবি/আয়শা/০৫ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:৫০