শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় মেলার অনানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবাহ রাজ্যের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ও ওয়ার্কস মিনিস্টার দাতুক সাহেলমি ইয়াহিয়া। উদ্বোধনের পর তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্যাভিলিয়ন এবং হাইকমিশনের উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নও ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ডেপুটি চিফ মিনিস্টারকে স্বাগত জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা। তিনি প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত বাংলাদেশের বিভিন্ন রফতানিযোগ্য পণ্য সম্পর্কে অতিথিদের অবহিত করেন এবং সাবাহ রাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
ডেপুটি চিফ মিনিস্টার মেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপর তিনি অংশগ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে সম্মাননা সনদ তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মেলার অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান দাতুক রিচার্ড লিম, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ডাস্ট্রিজ (এফএসআই)-এর প্রেসিডেন্ট নাটালি ফুং, বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী চেম্বারের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
হাইকমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মো. মোরশেদ আলম, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ এবং তৃতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মো. তানজিম হোসেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক, মো. পারবেজ হিরা, সাকিব রাফি এবং মুরুগান মার্ক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সাবাহ)।
মেলার দ্বিতীয় দিন ২৭ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহানারা মনিকা ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ডাস্ট্রিজ (এফএসআই)-এর প্রেসিডেন্ট নাটালি ফুং এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সভা করেন। তিনি সাবাহ অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রসারে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি ফেডারেশনকে ভবিষ্যতে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানান এবং তারা এতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এই মেলায় ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’-এ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ও পানীয়, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস, প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য রফতানিযোগ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়। আশা করা হচ্ছে, এই আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যসহ পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হবে।