আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসছে শুনে খুশি হন কলকাতার মানুষ। ইলিশের প্রথম চালান ভারতের বাজারে উঠেছে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। দুপুরের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যায়। প্রথম দিন কলকাতাবাসীর প্রত্যাশার তুলনায় উচ্চমূল্যের কারণে অনেক ক্রেতাই খালি হাতে ফিরেন। কিন্তু আরও চালান পৌঁছালে দাম বাংলাদেশের চেয়েও কমে যাওয়ার সম্ভাবনায় খুশি তারা।
কসবার একজন মাছ বিক্রেতা অতুল দাস বলেন, কিছু ক্রেতা যে কোনো মূল্যে ইলিশ কিনতে চেয়েছিলেন। অনেকের কাছে এক কেজি আকারের মাছের দাম একটু বেশি মনে হয়েছে। আমরা আশা করছি শুক্রবার থেকে সরবরাহ বাড়লে পরিস্থিতি বদলে যাবে।
পাইকারি পর্যায়ে সীমিত সরবরাহের কারণে প্রাথমিকভাবে ঘাটতি দেখা দেয়। হাওড়ার পাইকারি ডিপো সাধারণত বাংলাদেশের মাছ আমদানির প্রবেশপথ বলে বিবেচিত। এখানে এক কেজিরও বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১,৫০০-১,৮০০ রুপিতে। বৃহস্পতিবারের নিলামে বড় জাতের ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ২,০০০ রুপিতে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১ হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ মাছ ভারতের ত্রিপুরায় রপ্তানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে দুটি পিকআপে করে মাছগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৬টি প্রতিষ্ঠান ৩৭ টন ৪৬০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ৩৭ জন রপ্তানিকারককে ১২০০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২ ডলার ৫০ সেন্ট, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৫২৫ টাকা। ইলিশ রপ্তানি ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্য বাড়াবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ইলিশ রপ্তানিতে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়বে বলছেন সাধারণ ক্রেতারা।
কিউএনবি/আয়শা/২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:৩৩