আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেল ক্রেতাদের ওপর দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা দিলে মস্কোর অর্থনীতি ‘ধসে পড়বে’। স্থানীয় সময় রোববার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কট বেসেন্ট জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ ফোনালাপ করেছেন। পরে শুক্রবার ভন ডার লেয়েন বেসেন্টকে ফোন করেন এবং রাশিয়ার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যার ফলে পূর্বের ঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অতিরিক ২৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক গত ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর আরও চাপ বাড়াতে প্রস্তুত, তবে আমাদের ইউরোপীয় মিত্রদেরও আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি— ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কত দিন টিকতে পারে, আর রুশ অর্থনীতি কত দিন টিকতে পারে তার মধ্যে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বিশেষ করে রুশ তেল কিনে এমন দেশগুলোর ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা যায়, তাহলে রুশ অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিন আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হবেন।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে ‘এত বেশি পরিমাণে’ তেল কেনায় তিনি ‘খুব হতাশ’। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ভারতের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করেছি—৫০ শতাংশ। ’তবে মোদির সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। তার ভাষ্য, ‘আমি মোদির সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রাখি, উনি দুর্দান্ত একজন মানুষ। উনি কয়েক মাস আগেই এখানে এসেছিলেন। ‘যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা, যেমন অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো, দাবি করেছেন, ভারতের রুশ তেল ক্রয় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে অর্থায়ন করছে। ভারত এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত এই শুল্ককে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ১০:০৪