নিউজ ডেক্সঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১২ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রামের দুই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে দুজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বাকিরা সাধারণ বেডে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন আটজন ও নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চারজন। এ ছাড়া একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পার্কভিউ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ইমতিয়াজ আহমেদ ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রোববার (৩১ আগস্ট) রাত থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে রোববার দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা ধরে আব্দুল্লাহ আল মামুনের অস্ত্রোপচার হয়। তার লাইফ সাপোর্ট সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) খুলে নেওয়া হতে পারে। তবে ইমতিয়াজের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তার লাইফ সাপোর্ট আগামীকাল মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) খোলা হতে পারে।
পার্কভিউ হাসপাতালের জিএম তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ কালবেলাকে বলেন, আমাদের এখানে এখন চারজন চিকিৎসাধীন আছেন। দুজন লাইফ সাপোর্টে আর দুজন সাধারণ বেডে। লাইফ সাপোর্টে থাকা দুজনের অপারেশন হয়েছে। এদের মধ্যে মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক শিক্ষার্থীর প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে অপারেশন হয়েছে। বর্তমানে তার সেন্স কাজ করতেছে। তার লাইফ সাপোর্ট আজ সোমবার তুলে নিতে চেষ্টা করা হবে। আর ইমতিয়াজের লাইফ সাপোর্ট এখন খোলা যাবে না। তার অবস্থার তেমন উন্নতি নেই।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন আটজন চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে দুজন, ২৮ নং ও ২৬ নং ওয়ার্ডে তিনজন করে চিকিৎসাধীন। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, এখন আমাদের এখানে ৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই। আহতদের মধ্যে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে দুইজন, ২৮ নং ও ২৬ নং ওয়ার্ডে তিনজন করে চিকিৎসাধীন। তাদের কারও মাথায় আঘাত আবার কারও শরীরে লাঠির আঘাত রয়েছে।এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নাইমুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে রোববার রাত ১০টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
অনলাইন নিউজ ডেক্সঃ
কুইক এন ভি/রাজ/০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫/ বিকালঃ ০৫.৪০