স্পোর্টস ডেস্ক : একটা সময়ে এশিয়ার ক্রিকেটে চির প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল ভারত-পাকিস্তান। দুই দলের খেলার উত্তেজনা শুধু মাঠেই নয়, চায়ের টেবিল পর্যন্ত পৌঁছে যেত। দুই দলের খেলায় থাকতো রোমাঞ্চ, ম্যাচের পরতে পরতে বিরাজ করতো উত্তেজনা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) টুর্নামেন্ট ছাড়া ভারত-পাকিস্তান এই দুই দলকে আর মাঠের লড়াইয়ে দেখা যাচ্ছে না। দুই দলের উত্তেজনাও আগের মতো পরখ করা যাচ্ছে না।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা এখন বিরাজ করছে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে। এই দুই দলের খেলা মানেই ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজনা। খেলা শুরুর আগ থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করে মাঠ ও মাঠের বাইরে।
বিশেষ করে ২০১৫ সালের জুনে পেস বোলার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ দলে অভিষেকের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বীতা চোখে পরার মতো। সেবার ঢাকায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসে মোস্তাফিজের কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে সিরিজে হেরে যায় ভারত। তারপর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ভরপুর।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের এই উত্তেজনার প্রভাব ভালোভাবেই পড়েছে বয়সভিত্তিক দলের ওপর। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের শক্তিশালী দল ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। তারপর থেকে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।
২০২৩ সালে এমার্জিং এশিয়া কাপেও ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান ভারতীয় ক্রিকেটার হর্ষিত রানা। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২১১ রান করেন। রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ দলের তারকা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান হর্ষিত রানা।
সেই ঘটনার পর পডকাস্ট চ্যানেলে হর্ষিত রানাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সব সময় লড়াই হয়। সেদিন যশ ধুল ও আমি যখন ব্যাটিংয়ে ছিলাম ওরা আমাদের স্লেজিং করে।’সৌম্য সরকারের সঙ্গে ঝামেলা প্রসঙ্গে হর্ষিত আরও বলেন, ‘সৌম্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিল।
আমরা অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেটার ছিলাম। ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন, আমি নিজের মতো উদযাপন করছিলাম। সৌম্য আমাকে কিছু একটা বলেছিল। কথা কাটাকাটির শুরু সেখান থেকেই। শেষমেশ অবশ্য আমরাই ম্যাচটা জিতি।’
কিউএনবি/আয়শা/১০ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:৫৫