নিউজ ডেক্সঃ ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজির অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর এই নেতা বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ইটভাটায় চাঁদাবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিজ এলাকা বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালপুরে তিনতলা ভবন নির্মাণ ও দুটি গাড়িও কিনেছেন তিনি। বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজাপুর খেয়াঘাট ৩০ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ৭০ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে সেই ঘাটের ইজারা বাতিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। হাসান আলীর চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ফতুল্লার এক ব্যবসায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম মানিক তার অভিযোগে দাবি করেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী সিন্ডিকেট গড়ে চাঁদাবাজি করছেন। একজন আইনজীবীও আছেন তার এই সিন্ডিকেটে। তিনি চাঁদাবাজির ৩০ শতাংশ পেয়ে থাকেন। গত এক বছরে হাসান আলী শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ইটভাটা, ব্যবসায়ী, ফেরিঘাট ও অন্যান্য স্থানে চাঁদাবাজি করে। নিজ এলাকা গোপালপুরে অল্প দিনেই করেছেন বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি। কিনেছেন দুটি গাড়ি, যা ঢাকায় ভাড়ায় চালানো হয়। ২০২৪-এর ৫ আগস্টের পর পাঁচটি ব্যাংকের সাতটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার পরিবারের নামে এ পর্যন্ত ৯৬ কোটি টাকা জমা হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তার ও প্রভাব ধরে রাখতে এলাকায় অস্ত্র নিয়ে হাসান আলীকে মহড়া দিতেও দেখা গেছে বলে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম তার অভিযোগে জানিয়েছেন। দুদকের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের এক উপপরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে জানতে হাসান আলীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
অনলাইন নিউজ ডেক্সঃ
কুইক এন ভি /রাজ/৪আগস্ট ২০২৫/দুপুরঃ ০১.৫৫