এ সুরার ৮৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন এক শ্রেণির লোকদের সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, যারা চায় মুসলমানরা ঈমান ত্যাগ করে তাদের মত হয়ে যাক, যাতে তারা সবাই সমান হয়ে পড়ে কুফরীতে। এই আয়াত আমাদের শেখায়, কার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়বো, কাকে আপন করবো—তা নির্ধারণে ঈমান একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি।
وَدُّوۡا لَوۡ تَکۡفُرُوۡنَ کَمَا کَفَرُوۡا فَتَکُوۡنُوۡنَ سَوَآءً فَلَا تَتَّخِذُوۡا مِنۡہُمۡ اَوۡلِیَآءَ حَتّٰی یُہَاجِرُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَخُذُوۡہُمۡ وَاقۡتُلُوۡہُمۡ حَیۡثُ وَجَدۡتُّمُوۡہُمۡ ۪ وَلَا تَتَّخِذُوۡا مِنۡہُمۡ وَلِیًّا وَّلَا نَصِیۡرًا ۙ
অর্থ: তারা কামনা করে, তারা নিজেরা যেমন কুফর অবলম্বন করেছে, তেমনি তোমরাও কাফির হয়ে যাও, যাতে তোমরা পরস্পর সমান হয়ে যাও। সুতরাং (হে মুসলিমগণ!) তোমরা তাদের মধ্য হতে কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আল্লাহর পথে হিজরত না করে। যদি তারা (হিজরত করাকে) উপেক্ষা করে, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং তাদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর, আর তাদের কাউকেই নিজের বন্ধুরূপেও গ্রহণ করবে না এবং সাহায্যকারীরূপেও না।
এই আয়াত আমাদেরকে স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয়, ঈমান শুধু অন্তরের ব্যাপার নয়—এটি আমাদের সামাজিক সম্পর্ক, বন্ধু নির্বাচনে এবং দ্বীনের প্রতি আনুগত্যে প্রকাশ পায়। যারা দ্বীনের বিরোধিতা করে এবং মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করতে চায়, তাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। আল্লাহর রাহে হিজরত ও আত্মোৎসর্গই প্রকৃত মুসলিম পরিচয়ের প্রমাণ। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হল, ঈমানদারদের পাশে থাকা এবং যারা দ্বীনের শত্রু, তাদের থেকে দূরে থাকা—এটাই আমাদের নিরাপদ পথ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়।