স্পোর্টস ডেস্ক : ৭ উইকেট ও ৮ রানের পরাজয়ের পর অবশেষে ৭৪ রানের বড় জয়ে সিরিজ শেষ করলো পাকিস্তান। খালি চোখে এটা সান্ত্বনার জয় আগা সালমান বাহিনীর। শুধু কি সান্ত্বনার জয়? পাকিস্তানিদের জন্য তো আসলে এটা নৈতিক জয়ও বটে। প্রথম থেকেই তারা বলে আসছে, এ উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ নয়। এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপের আগে কোনো দলের প্রস্তুতির জন্য এই উইকেটে খেলা মোটেই ভাল কিছু নয়। পাকিস্তান হেড কোচ মাইক হেসন প্রথম ম্যাচের পরই এমন মন্তব্য করেছিলেন। পরের ম্যাচে ফাহিম আশরাফের লড়াকু ব্যাটিংয়ের পরও ৮ রানে হারের পর মনে হয়েছে এ উইকেটে টাইগারদের হারানোর ক্ষমতা নেই পাকিস্তানিদের।
বৃহস্পতিবার বল ব্যাটে এসেছে। উইকেটের গতি ও বাউন্সেও স্থিতি ছিল। বল বেশ ভালোমতোই ব্যাটে এসেছে। দুই রকম গতিতে (ডাবল পেসড) আসেনি। বাউন্সটাও ঠিক ছিল। এরকম কন্ডিশনে আগে ব্যাট করার সুযোগটা পুরোই কাজে লাগিয়েছেন পাকিস্তানিরা। এ ম্যাচে প্রথম সুযোগ পাওয়া বাঁ-তি স্পিনার নাসুম আহমেদই (৪ ওভারে ২/২২) শুধু ভালো বোলিং করেছেন। এ ছাড়া বাকি বোলাররা হালে পানি পাননি। আগের ২ ম্যাচে ডাবল পেসড পিচে পাকিস্তানি ব্যাটারদের কাছ থেকে সমীহ আদায় করলেও আজ ব্যাটিং সহায়ক পিচে অফস্পিনার শেখ মেহেদী (৩ ওভারে ০/৩৬), শরিফুল (১/৩৯), তাসকিন (৪ ওভারে ৩/৩৮), সাইফউদ্দীন (৪ ওভারে ১/২৮) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (১ ওভারে ০/১৪) – প্রত্যেকে বেদম মার খেয়েছেন।
তাদের বোলিং দেখে বোঝা গেছে বোলিং সহায়ক পিচে তাদের বল যতটা কার্যকর, ব্যাটিং সহায়ক পিচে তারা ততটাই অকার্যকর। একই অবস্থা ব্যাটারদেরও। স্লো পিচে পারভেজ ইমন আর জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদীরা ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেও আজ ব্যাটিং পিচে তারা কিছুই করতে পারেননি। যে পিচে পাকিস্তানিরা স্বচ্ছন্দে একের পর এক চার ও ছক্কার প্রদর্শনী ঘটিয়েছেন, সেই পিচে তানজিদ তামিম, নাইম শেখ, অধিনায়ক লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, শামীম পাটোয়ারীদের সে কি অসহায় আত্মসমর্পণ! বোঝাই গেল ১৭৯ রানের বড় টার্গেট ছুঁতে গিয়ে লেজে-গোবরে করে ফেলেছিলেন তারা।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:৫৫