স্পোর্টস ডেস্ক : গ্লোবাল সুপার লিগের গেল বারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স হার মেনেছে এবারের ফাইনালে। বাংলাদেশি ফ্রাঞ্চাইজিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিক দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। অনেকটা একপেশে ম্যাচে গায়ানার সামনে পাত্তাই পায়নি রংপুর। হার মানে ৩২ রানে।
এ দুজনের ১২১ রানের অনবদ্য জুটি গায়ানাকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৭ রান করে চার্লস রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন । আর দলীয় ১৪৮ রানে গুরবাজ যখন আউট হন, ততক্ষণে ১৫.৪ ওভার খেলা হয়ে গেছে। আফগান এই ব্যাটার ৩৮ বলে ৬৬ রান করেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়।
চারে নামা শিমরন হেটমেয়ার রানের খাতা খুলতে না পারলেও শেরফান রাদারফোর্ডের ১৫ বলে ১৯ ও রোমারিও শেফার্ডের ৯ বলে ২৮ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় গায়ানা।এর মধ্যে খালেদের করা শেষ ওভার থেকেই আসে ২০ রান।
রংপুরের পক্ষে খালেদ আহমেদ, তাবরাইজ শামসি ও ইফতিখার আহমেদ একটি করে উইকেট পান। হাইভোল্টেজ ফাইনালে গায়ানার জড়ো করা এই স্কোর অবশ্য চলতি আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এমনকি টুর্নামেন্টের ইতিহাসেও এতো রান হয়নি কখনো।
যার প্রভাবও পড়ে নুরুল হাসান সোহানদের ব্যাটিংয়ে। জবাব নিতে নামা রংপুর ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মতো। গায়ানার বোলারদের যেন বুঝতেই পারছিলেন না রংপুরের ব্যাটাররা। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৫ রান জড়ো করে দলটি। এর মধ্যে ইবরাহিম জাদরান ৪ বলে ৫, সৌম্য সরকার ১৪ বলে ১৩ ও কাইল মেয়ার্স ১০ বলে মাত্র ৫ রান করেন।
এরপর সাইফ হাসান দলের হাল ধরলেও এবং ইফতিখার আহমেদ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে লড়াই করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাইফ ২৬ বলে ৪১ রান করে ফিরলে ইফতিখার আহমেদের লড়াইও থামে ২৯ বলে ৪৬ রান করে।
শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৭ বলে ৩০ রান করেন। যদিও এসব শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষপর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় এবং ৩২ রানে হার মানে রংপুর। ম্যাচ সেরা হন বিজয়ী দলের রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
কিউএনবি/আয়শা//১৯ জুলাই ২০২৫,/সকাল ১১:০০