 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    জালাল আহমদ, ঢাবি : আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। আজ ২৯ মে (২০২৫)বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন সহ সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভপতি মশিউর রহমান রিচার্ড ,সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ,বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি আল-আমিন রহমান সহ নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, “দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দীর্ঘ শাসনে বাংলাদেশের সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ এই লড়াইয়ে তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরও জনগণের প্রধান এজেণ্ডায় পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর তাই আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করেছি শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে কোন ‘সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়নি। কিন্তু জাতি গঠনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গুনগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী।
আমরা ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষা খাতে এই বাজেটে (২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে) জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ, কার্যকর সংস্কার ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে সারাদেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ ও শিক্ষা সংলাপের আয়োজন করেছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত স্ফূতস্ফূর্তভাবে আমাদের দাবীসমূহের পক্ষে তাদের নৈতিক জনসমর্থন প্রকাশ করেছে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ইসলামী ছত্রশিবিরের হামলার নিন্দা জানিয়ে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা এক অলিখিত চুক্তির মধ্যে ছিলাম। আমাদের অনেক দ্বিমত থাকবে কিন্তু তার প্রকাশ আমরা করবো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা আশা করেছিলাম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর হামলা-মামলার সংস্কৃতি আর ফেরত আসবে না ।
কিন্তু শিবির তা ভঙ্গ করেছে। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলা করেছে। চট্টগ্রামে হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করলে থানায় মব সৃষ্টি করদ হয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।”
কিউএনবি/আয়শা/২৯ মে ২০২৫, /রাত ৯:১৫