ফলে ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁট করার যে এজেন্ডা তা প্রাথমিকভাবে বড় ধাক্কা খেলো। যদিও ট্রাম্প আইনপ্রণেতাদের বিলটি পাসের জন্য অনেকবারই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। ভোটভুটির আগেই এক ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘রিপাবলিকান দলে দৃষ্টি আকর্ষক কারও দরকার নেই। কথা বলা বন্ধ করুন এবং বিলটা পাস করুন।’ তবে তার কথায় কর্ণপাত করেননি আইনপ্রণেতারা।
তবে বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা এখনও একবারেই শেষ হয়ে যায়নি। এরপরও প্রাথমিক পর্যায়ে এমন ব্যর্থতা চলতি বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য প্রথম কোনো বড় আঘাত। রিপাবলিকানদের মধ্যে বিলটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। দলের কিছু কট্টরপন্থি বাজেট কাটছাঁটকে এগিয়ে নিতে চান। আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্যসেবার মতো কর্মসূচিগুলোতে অর্থ কমানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। যার উপর তাদের নির্বাচনী এলাকা নির্ভরশীল।
যে পাঁচজন রিপাবলিকান বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তারা বলছেন, হাউস স্পিকার মাইক জনসন মেডিকএইড কর্মসূচিতে আরও ব্যয় কমানোতে রাজি না হলে তারা এ বিলের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবেন। মেডিকএইড নিম্ন আয়ের আমেরিকানদের জন্য নেয়া একটি কর্মসূচি।
তাদের নির্বাচনি এলাকার অনেকেই এর ওপর নির্ভরশীল। তারা একই সাথে চান যে ডেমোক্র্যাটদের সময়ে করা ‘পরিবেশ বান্ধব জ্বালানিতে কর অব্যাহতির’ বিষয়টি বাতিলের প্রস্তাব এই বিলে অন্তর্ভুক্ত হোক। যেমন টেক্সাসের রিপাবলিকান চিপ রায়, যিনি বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, তিনি বলেন, ‘এ বিলটি খুব দুর্বল।’
প্রস্তাবিত বিলে করছাড় কিছুটা সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছে। এটা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়ও বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ট্রাম্প বিলে বকশিসের ওপর কর না থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বললেও কিছু সমালোচক বলছেন যে, এই বিল ধনীদেরই সুবিধা দিবে।
ডেমোক্র্যাটরা সম্পূর্ণরূপে বিলটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা স্বাস্থ্যসেবার কর্মসূচিগুলোতে খরচ কমানোর বিষয়টি বিবেচনার দাবি করেছেন। বিশেষ করে তারা কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধায় কাটছাঁটের বিরোধী, যে প্রকল্পে লাখ লাখ নাগরিক ভর্তুতি মূ্ল্যে স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন।
পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট ব্রেনডান বয়লে বলেন, ‘আর কোন বিল, আইন বা ইভেন্ট অতীতে এভাবে লাখ লাখ আমেরিকানের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নষ্টের কারণ হয়নি, এমনকি তীব্র মন্দার সময়েও হয়নি।’ কংগ্রেসের জয়েন্ট ট্যাক্স কমিটির মতে, বিলটি পাস হলে আগামী দশ বছরে কর ছাড়ের মূল্য হবে ৩ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন ডলার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি